পুনম শাহরীয়ার ঋতু,ঢাকা : সারা দেশের ন্যায় গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় গত শনিবার (৫ ই অক্টোবর ) থেকে ১০৫টি মন্ডপে শুরু হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় আয়োজন শারদীয় দূর্গোৎসব। মহাশক্তি মহামায়া ত্রিনয়নী দুর্গতিনাশিনী দেবী দূর্গাকে ভক্তি ভরে স্মরন করে নিতে কালিয়াকৈরের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নানা প্রস্তুতি নিয়েছে। পূজায় ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সব শ্রেনীর বাঙ্গালী আনন্দে মেতে উঠেছে। এদিকে পুজা মন্ডপ এলাকাগুলেতে নিরাপত্তা দিতে উপজেলা প্রশাসন ও থানা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
ষষ্ঠ্যাদি কল্পারম্ভ সায়ংকালের দেবীর বোধন আমন্ত্রন ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে তার পর মহা সপ্তমী বিহীত পুজা, মহাষ্টমী কুমারি পুজা, মহানবমী, অবশেষে দুর্গা মাকে গঙ্গায় বিসর্জন ও বিজয়া দশমীর শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে পুজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে। এবারের পুজায় নৌকায় চড়ে মর্তে আসবেন মা দুর্গা আর ফিরে যাবেন ঘোড়ায় চড়ে। কালিয়াকৈরের সফিপুর, মাটিকাটা রেললাইন, বড়ইবাড়ি, বোয়ালী, মধ্যপাড়া, চাবাগান, ফুলবাড়িয়া, সাগাস্বর, চাপাইর, বলিয়াদীসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ১০৫টি পুজা মন্ডপে চলছে শারদীয় দুর্গোৎসব।
কালিয়াকৈর উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির আহবায়ক বাবু সাধন রায় জানান, পুজায় সর্বস্তরের মানুষের সমাগম ঘটবে। শারদীয় দুর্গোৎসব এটা যেমনি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। তেমনি এতে অন্যান্য ধর্মের বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশগ্রহন করে। তাই আমরা সবার কথা মাথায় রেখে প্রশাসনের সর্বাত্মক সহযোগিতা এবং নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করছি। আশা করছি কোন রকম জামেলা ছাড়াই পূজা উদযাপন কাজ শেষ হবে।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আলমগির হোসেন মজুমদার বলেন, প্রতিটি মন্ডপেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্যরা এবং র্যাব ও সাদা পোশাকে প্রশাসন যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সজাগ দৃষ্টিতে থাকবে।