মোঃ মেহেদী হাসান মুন্না, রাজশাহীঃরাজশাহী মহানগরীর লক্ষীপুর চৌরঙ্গী মসজিদ কমিটির সহ-সভাপতি হাজি সফিকুজ্জামান সুজনের অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। আর সেই ভিডিও মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন জনের হাতে।
গত ১৩ই অক্টোবর থেকে ছড়িয়ে পড়া ২৯ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায়, সফিকুজ্জামান সুজন ভিডিও কলে বিবস্ত্র হয়ে অপরপ্রান্তে থাকা একজন বিবস্ত্র মেয়েকে তার শরীর দেখাচ্ছেন। ভিডিওটির অপর প্রান্তে থাকা মেয়েটিও দেখাচ্ছেন তার বিবস্ত্র দেহখানা। ভিডিওটি শহরজুড়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সবার ফোনে ফোনে ঘুরে বেড়াচ্ছে আপত্তিকর সেই ভিডিওটি।
হাজি সফিকুজ্জামান সুজন চৌরঙ্গী মসজিদ কমিটির সহ-সভাপতি ছাড়াও লক্ষীপুর কাঁচাবাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও রাজপাড়া থানা আওয়ামী লীগ সদস্য। তার এমন ভিডিও ভাইরালে লক্ষীপুর চৌরঙ্গী মসজিদের মুসল্লীগন, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও মহানগর আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা চরম বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েন।
এদিকে আওয়ামী লীগের একের পর এক নেতার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে রাজশাহীতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন দলের নেতাকর্মীরা।
তারা বলেন , ব্যক্তির কোনো কাজের দায় দল নিতে পারে না। কেউ যদি কোনো অপকর্ম করেই বসে তার দায় তার নিজের। তারা শঙ্কিত এই ভেবে যে, এসব নেতার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে আগামী নির্বাচনে।
অন্যদিকে দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের অভিযোগ, সাম্প্রতিক সময়ে রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা দুই নেতা ছাড়াও সহযোগী সংগঠনসহ আরও কয়েক নেতার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হলেও সাংগঠনিকভাবে অনেকের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এতে দলের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে জানান তারা।
ছড়িয়ে পরা আপত্তিকর সেই ভিডিও বিষয়ে জানতে চাইলে হাজি সফিকুজ্জামান সুজন বলেন, আমি শুনেছি তবে কোন ভিডিও দেখিনি। চৌরঙ্গী মসজিদ নিয়ে আমাদের দ্বন্দ্ব চলছে। হয়তো তারা এমন ভিডিও ভাইরাল করছে। যেহেতু ভিডিও আমি দেখিনি শুধু শুনেছি এ বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে চাচ্ছি না বলে জানান তিনি।
চৌরঙ্গী মসজিদ কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও রাজপাড়া থানা আওয়ামী লীগ এর সভাপতি শেখ আনসারুল হক খিচ্চু বলেন, আমি আপনার কাছে প্রথম শুনলাম এমন কোন ভিডিও ভাইরালের কথা। সে হাজি মানুষ । কেমন ভিডিও সেটিও আমরা দেখিনি। তার পরেও যদি এমন কোন ভিডিও ভাইরাল হয়ে থাকে এবং তা যদি প্রমানিত হয় সেটি সফিকুজ্জামান সুজনের তাহলে মহানগর আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে আলোচনা করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে । সেই সাথে মসজিদ কমিটির পদও হারাবেন বলে জানান তিনি।