১৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ইয়াবা জালালকে জেলে পাঠালেন আদালত

অভিযোগ
প্রকাশিত মার্চ ৩১, ২০২৪
ইয়াবা জালালকে জেলে পাঠালেন আদালত

শেখ আসাদুজ্জামান আহমেদ টিটু: চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানার নাশকতা ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ভাংচুর মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী ইয়াবা জালালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ২০২৩ সালের ১৪ জুন চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন জামাল খান এলাকায় নাশকতা ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ভাংচুর মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি জালালকে অবশেষে গ্রেফতার করে রাউজান থানায় সোপর্দ করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।

চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানার নাশকতা ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ভাংচুর মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জালালকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাউজান থানার ওসি জাহিদ হোসেন৷

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জালাল ইতিপূর্বে যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিত সাকা চৌধুরীর পুত্র হুম্মাম কাদেরের বিশ্বস্ত ক্যাডার হিসেবে পরিচিত। চট্টগ্রাম নগরীতে সেই হুম্মাম কাদেরের সুপারিশে নগর ছাত্রদলের সহ-সম্পাদক পদ বাগিয়ে নেয় জালাল। নগরীর কালামিয়া বাজার এলাকায় অস্থায়ী ভাবে বসবাস করে নগরীতে বিভিন্ন সময় বিএনপি’র হয়ে নাশকতা মূলক কার্যক্রম চালিয়ে রাউজানে আত্মগোপনে থাকে সে। নিজেকে বাঁচাতে রাউজানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের সাথে উঠাবসা করে রীতিমতো আওয়ামী লীগার সেজে গেছে এই জালাল। স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়,মোঃ জালাল প্রায় সময়ের সাধারণ মানুষের সাথে উস্কানি মূলক কথাবার্তা বলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্হানীয় আরো কয়েকজন এর সাথে কথা বলে জানা যাই,জালাল এক সময় গরুর ব্যাবসা করলে ও এখন সেই স্হানীয় একজন কিশোর গ্যাং নেতার মাধ্যামে এলাকায় এখন কিশোর গ্যাং নেতৃত্ব দিচ্ছে,এবং প্রকাশ্য অস্ত্র নিয়ে চলাফেরা করে, বিভিন্ন দোকানে চাঁদা দাবি করে, চাঁদা না দিলে তার নেতৃত্ব থাকা কিশোর গ্যাং নিয়ে ব্যাবসায়ীদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে।স্হানীয় আরেকজন ব্যাবসায়ী বলেন,এক সময় জালাল এর পরিবারের সবাই যুদ্ধ অপরাধে দায়ে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী সালাউদ্দিন কাদের এর অনুসারী ছিল।এবং এখনো তার আপন বড় ভাই দুবাই বিএনপি সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করছেন,তার পুরো পরিবার হুম্মাম কাদের ও সাজাপ্রাপ্ত গিয়াস কাদের চৌং এর অনুসারী হিসাবে চিহ্নিত।ইয়াবা জালাল এর ব্যাপার জানতে চাইলে স্হানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তি যোদ্ধা ও আওয়ামীলীগ সভাপতি সফিকুল ইসলাম বলেন, আমি আজ প্রায় পনের বছর এই হলদিয়ার চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছি, এই হলদিয়ায় কে কোন দল করে সব আমার নখ দর্পণে। এই ইয়াবা ব্যাবসায়ী জালাল ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা ও সাকা চৌধুরী রাজনীতি করতেন এখন তার ছেলে হুম্মাম কাদের ও দন্ড প্রাপ্ত আসামী গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী রাজনীতি বি এন পির সাথে ও সক্রিয়। সেই এলাকায় ইয়াবা ব্যাবসা করার কারনে কিছু দিন আগে আমি তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি। সেই চিহ্নিত একজন সন্ত্রাসী। স্হানীয় ইউপি সদস্য গিয়াস মেম্বার বলেন, ইয়াবা জালাল গরুর ব্যাবসার আড়ালে মুলত তার প্রধান ব্যাবসা ছিল ইয়াবা, এমনকি সেই গরু মহিষের পেটের ভিতরে করে ইয়াবা আনতেন।এবং বিভিন্ন জায়গায় এই এই গরু মহিষের পেটের ভিতর করে ইয়াবা চালান ও দিতেন। সেই একজন সন্ত্রাসী কিশোর গ্যাং লিড়ার ও একাধিক মামলার আসামী।
তার অত্যচারে এখন এলাকা বাসী অতিষ্ট হয়ে উঠেছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গৌতম তিওয়ারি বলেন, আমাদের থানার একটি মামলার পলাতক আসামী জালালকে রাউজান থানা পুলিশের সহায়তায় গ্রেফতার করা হয়েছে৷ পরবর্তীতে তাকে কোটে প্রেরণ করলে আদালত তাকে জামিন না দিয়ে জেল হাজতে
পাঠিয়ে দেন।

Please Share This Post in Your Social Media
September 2024
T W T F S S M
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930