২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সিরাতুন নবী (সা) বর্ণনায়

অভিযোগ
প্রকাশিত নভেম্বর ১১, ২০১৯
সিরাতুন নবী (সা) বর্ণনায়

★ কবি ডা.মিজান মাওলা ★

আল্লাহর রাসূল নবী মুহাম্মদ (সা) বিশ্ব মানুষের রাহবার হয়ে আরবের কোরায়েশ ব‌ংশে ৫৭০ খ্রীষ্টাব্দে ১২ ই রবিউল আউয়ালে আব্দুল ্লার ওরসে মা আমেনার গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন এবং দুনিয়া ও আখেরাতের পথ প্রদর্শক হ‌য়ে ঠিক ১২ই রবিউল আউয়াল পরলোকগমন করেন। তিনি রাহমাতুললিল আলামিন। তিনি মানুষের প্রিয়নবী।

 

তাঁর শুভাগমন না হলে ইসলামের মতো মহানিয়ামতের পূর্ণাঙ্গরূপ পৃথিবীর মানুষ প্রত্যক্ষই করতো না। আল্লাহর প্রেরিত শেষনবী তিনি।

 

তাঁর প্রতি নাযিল হয়েছে সর্বশেষ আসমানি কিতাব আল কুরআন। এই কিতাবই নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের মুক্তিসনদ। এই কিতাবই মানুষকে দেখিয়েছে আলোর পথ। প্রকৃত অর্থে মানুষ যখন আল্লাহকে ভুলে, তওহিদ বিস্মৃত হয়ে, অন্যায় আর অবিচারের ঘূর্ণাবর্তে হাবুডুবু খাচ্ছিল সেই যুগে আলোকবর্তিকাসহকারে আবির্ভূত হন নবী মুহাম্মদ (সা)। ভাবা যায়, নবী ইব্রাহিম (আ) এর অধস্তন বিভ্রান্ত বংশধররাই পবিত্র কা’বায় প্রতিষ্ঠা করেছিল মূর্তি ! মানুষে মানুষে, গোত্রে গোত্রে চলছিল লড়াই।

 

ক্ষমতা নিয়ে চলছিল রক্তক্ষয়ী যুদ্ধবিগ্রহ। এমনই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে শান্তির মহাবারতা নিয়ে আসেন মানুষের প্রকৃত মুক্তিকামী ।

 

শৈশবের আমানতদারি, সত্যবাদিতা, সমাজসেবা দেখে মুগ্ধ মানুষ তাঁকে উপাধী দিয়েছিল আল-আমিন। সেই বালক আল-আমিন আল্লাহর রসূল নবী মোহাম্মদ (সা)। তিনি আল্লাহর শেষ নবী।

 

তার মাধ্যমেই পূর্ণতা লাভ করেছে মানুষের জন্য আল্লাহর জীবন বিধান ইসলাম। মানব জাতির শেষ দিন পর্যন্ত তিনিই হবেন মানুষের রসূল (সা) এবং শেষ নবীর উপর প্রেরিত শেষ ধর্মগ্রন্থ আল কুরআন হবে মানুষের হেদায়েত গ্রন্থ। সত্য পথ সন্ধানী ও সুস্থ মনের মানুষ অতীতে এই হেদায়েত লাভ করেছিল এবং করতেই থাকবেন। আজ শেষ নবী এবং আল-কুরআনের অনুসারী যারা, তাদের উপর এক মহা-দায়িত্ব। একদিকে তাদেরকে তাদের ঈমান নিয়ে অটলভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে, অন্যদিকে শেষ নবী (সা) এবং আল-কুরআনের মেসেজ গোটা দুনিয়ায় মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। এই পথে বাধা এসেছে, বাধা আসবে, আসতেই থাকবে।

 

বাধা হবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের। আজ একুশ শতকে শান্তির ধর্ম ইসলামের ভীতিকর রূপ তুলে ধরে মানুষকে ইসলাম থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। শান্তির পথেই এই বাধার মোকাবিলা করতে হবে। আল্লাহর রহমতে তাদের অপপ্রচার ইসলামের প্রচারে পরিণত হবে। পৃথিবীর মানুষ ইসলামের সন্ধান পাক, মানুষ মুক্তি লাভ করুক জাহেলিয়াত থেকে- আজকের দিনে এই আমাদের প্রত্যাশা।

 

(রচনা কাল- ১০/১১/১৯ই)

Please Share This Post in Your Social Media
April 2024
T W T F S S M
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30