৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

মুঠোফোনে পরিচয়ের মাধ্যমে ব্যক্তিগত মুহুর্তের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বারংবার ধর্ষণ করা ধর্ষক ‘মোঃ জসিম (৪২)’কে আটক করেছে র‍্যাব-৭

Weekly Abhijug
প্রকাশিত মার্চ ১৫, ২০২৩
মুঠোফোনে পরিচয়ের মাধ্যমে ব্যক্তিগত মুহুর্তের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বারংবার ধর্ষণ করা ধর্ষক ‘মোঃ জসিম (৪২)’কে আটক করেছে র‍্যাব-৭

চট্টগ্রাম ডেস্ক :

বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।ভুক্তভোগী ভিকটিম চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গা এলাকায় তার স্বামীর সাথে বসবাস করতেন। ভিকটিমের স্বামী একটি নিয়মিত মামলায় ২০২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর হতে ২০২৩ সালের ০৭ মার্চ পর্যন্ত চট্টগ্রাম কারাগারে ছিলে। ভিকটিমের স্বামী কারাগারে থাকা কালীন সময়ে আসামী মোঃ জসিম (৪২) এর সাথে ভিকটিমের মুটোফোনে পরিচয় হয় এবং এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে এই বন্ধুত্বের জের ধরে জসিম ভিকটিমকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় কিন্তু ভিকটিম এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় জসিম প্রতারণা ও ব্লাকমেইলের আশ্রয় নেয়। অভিযুক্ত জসিম ভিকটিমের ব্যক্তিগত মুহুর্তের বিভিন্ন ছবি তাকে দেখিয়ে তার সাথে শারীরিক সর্ম্পক করার প্রস্তাব দেয় এবং সে যদি রাজী না হয় তবে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি প্রদান করে।পরবর্তীতে আসামী জসিম গত ০১ জানুয়ারি ২০২৩ ইং তারিখে ভিকটিমকে তার ব্যক্তিগত মুহুর্তের ছবি ও ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যায় এবং তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এভাবে আসামী জসিম ভিকটিমকে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে বেশ কয়েকদিন ধর্ষণ করে। গত ০৭ মার্চ ২০২৩ইং তারিখে ভিকটিমের স্বামী জেল হতে বের হলে ভিকটিম তার স্বামীকে উপরোক্ত ঘটনা খুলে বলে এবং সুবিচার পাওয়ার জন্য র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামকে বিষয়টি অবগত করে।ভিকটিমের এরুপ অভিযোগের বিষয়টি র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম মানবিকতার সহিত আমলে নেয়। এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গত ১৪ মার্চ ২০২৩ইং তারিখ ১০৩০ ঘটিকায় চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন বন্দরটিলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ জসিম (৩২), পিতা-মোঃ সেলিম, সাং-জুলদা, থানা-কর্ণফুলী, চট্টগ্রাম মহানগর‘কে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী ভিকটিমকে তার ব্যক্তিগত মুহুর্তের ছবি ও ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বারংবার ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীর মোবাইল তল্লাশী করে ভিকটিমের ০৭ কপি ব্যক্তিগত মুহুর্তের ছবি পাওয়া যায়।গ্রেফতারকৃত আসামীর সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  

টাঙ্গাইলে ইয়াবাসহ ইউপি সদস্য আটক —————————————————— হামিদ আল মামুন রানা স্টাফ রিপোর্টার: টাঙ্গাইলে পাঁচ হাজার তিনশত ৮০ পিস ইয়াবাসহ ইউপি সদস্য ও এক যুবককে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১৪। শনিবার (১ এপ্রিল) ভোর রাতে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাশের গোল চত্ত্বর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলেন- দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার বিজুল কঞ্চিগাড়ি গ্রামের মৃত নজিবুদ্দিনের ছেলে দিওর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আকরামুল হক (৪৭) ও দিওর গ্রামের মো. ওয়াজেদের ছেলে মো. মোক্তার হোসেন (২৮)। বিষয়টি নিশ্চিত করে শনিবার বিকেলে র‌্যাব-১৪ এর কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, শুক্রবার (৩১ মার্চ) মাঝরাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিনি জানতে পারেন দুই জন মাদক ব্যবসায়ী বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যের একটি চালান নিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড়ের গোল চত্ত্বর মোড় এলাকায় অবস্থান করছে। তারপর শনিবার ভোর রাতে র‌্যাবের একটি দল উক্ত স্থানে থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় মোক্তার হোসেনের হাতে থাকা একটি শপিং ব্যাগ হতে পাঁচ হাজার তিনশত আশি পিস ইয়াবা ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, তারা আন্তঃজেলা মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সদস্য এবং তারা মাদক ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য প্রতিনিয়ত অভিনব কৌশল অবলস্বন করত। তারা ঢাকা মহানগর থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা সংগ্রহ করে দিনাজপুর জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট বিক্রয় করে। গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ মোতাবেক বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানায় মামলা করা হয়েছে।