আরাফাত হোসেন স্টাফ রিপোর্টার:
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন মাঠে আগাম জাতের বোরো ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। অবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলন পাচ্ছেন কৃষকরা। আর বাজারে ভালো দাম থাকায় লাভের আশা করছে তারা।
তবে ধান কাটা পুরোদমে শুরু হতে আরো ১০-১৫ দিন সময় লাগতে পারে। শেষ পর্যন্ত মাঠের পর মাঠ দোল খাওয়া স্বপ্নের বোরো ধান কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াই ঘরে তুলতে পারবে কিনা তা নিয়েই শঙ্কায় রয়েছে কৃষকরা। উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বোরো মৌসুমে এই উপজেলায় ১৯ হাজার ২৮৩ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। এতে ধান উৎপাদন হতে পারে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫৭৮ মেট্রিক টন। এর মধ্যে আগাম জাতের মিনিকেট ধান কাটতে শুরু করেছে এই উপজেলার কৃষকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এই উপজেলার বেশকিছু ইউনিয়নে কাস্তে নিয়ে তীব্র তাপদাহকে উপেক্ষা করেই আগাম জাতের ধান কাটার উৎসবে মাঠে নেমে পড়েছে কৃষকরা। সদর ইউনিয়নের কৈডালা গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, আগাম জাতের ধানপাকা শুরু হয়ে গেছে যেকোন সময় আবহাওয়া খারাপ হতে পারে, বাজারে মিনিকেট ধানের দামও এখন অনেক বেশি ফলনও হয়েছে অনেক বেশ তাই ধান কাটা মাড়াই শুরু করেছি।
হাটলালা গ্রামের সাইদুল জানান, এবছর ১৩ বিঘা জমিতে আগাম জাতের মিনিকেট ধান রোপন করেছিলাম। এ ধান চাষে প্রতি বিঘাই ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ধান কাটতে শুরু করেছি প্রতি বিঘাতে ধান পাচ্ছি ২৫ থেকে ২৬ মন, বাজারে যা বিক্রয় হচ্ছে ১৩শ থেকে ১৪শ টাকা মন। শেষ প্রর্যন্ত এ রকম বাজার মূল্যে থাকলে প্রতি বিঘা জমি থেকে ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা লাভ থাকবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজিউল হক বলেন, আগাম মিনিকেট জাতের বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে পুরোদমে বোরো ধান কাটা শুরু হয়ে যাবে। ধানের ফলন ও দামে বেশ খুশি কৃষক।