৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

রাজস্ব ফাঁকি দিতে বাকলিয়া শহীদ এন এম এম জে কলেজ রোডে সৎসঙ্গ বিহারের পাশে অবৈধ ঘাট স্হাপন করে বৈদ্যুতিক খুঁটি পারাপার

Weekly Abhijug
প্রকাশিত অক্টোবর ২৫, ২০২২
রাজস্ব ফাঁকি দিতে বাকলিয়া শহীদ এন এম এম জে কলেজ রোডে সৎসঙ্গ বিহারের পাশে অবৈধ ঘাট স্হাপন করে বৈদ্যুতিক খুঁটি পারাপার

শেখ তিতুমীর ( পিআইডি)

রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানাদ্বীন শহীদ এন এম এম জে কলেজ রোডের সৎসঙ্গ বিহার এর পাশে অবৈধ ঘাট স্থাপন করে নেওয়া হচ্ছে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও বৈদ্যুতিক নানা সরঞ্জাম। যার কারণে রাজস্ব হারাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। স্থানীয়দের দাবি কয়েক ধাপে এই মালামাল নেওয়া হয়েছে।

গত ২৩ শে অক্টোবর রাত আনুমানিক ৮.০০টা থেকে ১১.০০ টা পর্যন্ত প্রায় ১০টি বৈদ্যুতিক খুঁটি বোঝায় গাড়ি নির্দ্ধারিত অবৈধ ঘাটে জড়ো হয়েছে তথ্যের ভিত্তিতে জাতীয় সাপ্তাহিক অভিযোগ পত্রিকার প্রতিনিধি ঘটনা স্থলে গেলে তার সত্যতা প্রমাণিত হয়। সরকারি আইন বিরোধী এই কর্মকাণ্ডের তথ্য অনুসন্ধান করতে গেলে স্থানীয়রা কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন যা অপরাদের স্বর্গরাজ্য বললেও কম হবে। স্থানীয়দের তথ্য মতে, আজমির প্রকাশ ভেড়ীর আজমিরের নেতৃত্বে ও স্থানীয় বাস্তুহারা সমবায় সমিতির কিছু সদস্যদের সহযোগিতায় এই অবৈধ কাজগুলো পরিচালিত হচ্ছে।
এই অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিষয় জানতে মুঠোফোনে কল করলে বর্তমান বাস্তুহারা সমবায় সমিতির সভাপতি উত্তম কুমার সুশীল জাতীয় অভিযোগ পত্রিকাকে বলেন, বৈদ্যুতিক খুঁটি এভাবে পরিবহন করা সম্পূর্ণ অবৈধ, তিনি আরো বলেন এর সাথে যারাই জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও জোর দাবি জানান। বর্তমান সময়ে এমন অনেক অপরাধ আছে যা মিডিয়ার সহযোগিতা ফেলে নিজেই সব কিছু ওই স্থান থেকে বের করে দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সভাপতি উত্তম কুমার সুশীল।

স্থানীয়দের তথ্য মতে অবৈধভাবে বৈদ্যুতিক খুঁটি পরিবহনের সাথে জড়িত আজমির প্রকাশ ভেড়ীর আজমিরকে সহায়তাকারীখ্যাত বাস্তুহারা সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জাতীয় অভিযোগ পত্রিকাকে বলছেন তাই উল্টো কথা। মো সালাউদ্দিন অভিযোগ পত্রিকাকে বলেন, এই ঘাট বা অবৈধ বৈদ্যুতিক খুঁটির ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি আরো বলেন, সৎসঙ্গ বিহারের এলাকা আর বাস্তুহারা সমবায় সমিতির এলাকা ভিন্ন, সৎসঙ্গ বিহার এর পাশে কোন অবৈধ কর্মকান্ড হলে তার জন্য বাস্তুহারা সমবায় সমিতি দায়ী নয়। তিনি আরো বলেন, বাস্তহারা এলাকায় ১০ টিরও অধিক সংগঠন সক্রিয় আছেন তার জানা মতে এখানে জেলে শ্রমিক ইউনিয়নের ১টি ঘাট নির্ধারিত আছেন, অন্য কোন ঘাট সম্পর্কে তার জানা নেই। স্থানীয়দের তথ্যের উপর ভিত্তি করে বাস্তহারা এলাকায় মাদকদ্রব্যের চড়াছড়ি বিষয়ে জানতে চাইলে সালাউদ্দিন বলেন এখানে বেশীর ভাগ স্থানীয়, তবে যারা ভাড়াটিয়া আছে তাদের মধ্যে থেকে এই মাদক ব্যবসা পরিচালিত হতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। কোন অবৈধ ব্যবসা তথা বিদ্যুতিক খুঁটির অবৈধ পরিবহনের সাথে যারা জড়িত তাদের সাথেও তিনি জড়িত নয় বলেও জানান। কিন্তু বাস্তুহারা সমবায় সমিতির সাবেক সভাপতি শামসুল আলম তালুকদার শুনালেন ভিন্ন কথা।


সাবেক সভাপতি শামসুল আলম তালুকদার জাতীয় অভিযোগ পত্রিকাকে বলেন, বন্দরের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে এই বৈদ্যুতিক খুঁটি শহীদ এন এম এম জে কলেজ রোড দিয়ে নেওয়াতে একদিকে হারাচ্ছে সরকার রাজস্ব অন্য দিকে ভারী যান্ত্রিক পরিবহনের কারণে রোডের ক্ষতি হচ্ছে, এর দরুন রোড ভাঙ্গনের কারণে জন-দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বাস্তুহারা সমবায় সমিতির কিছু সদস্য ও বহিরাগতদের যোগসাজশে এখানে সব অপকর্ম পরিচালিত হয় বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।


এলাকায় মাদকসহ অন্যান্য অপরাদ কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেই থাকা অবস্থায় বাস্তুহারার অবস্থান আর বর্তমান অবস্থান পরিবর্তন ভিন্ন, সঙ্ঘবদ্ধ একটি চক্রের মাধ্যমে এই অবৈধ কর্মকান্ড পরিচালিত হয়।
বাকলিয়া থানাদ্বীন বাস্তুহারা সমবায় সমিতি হওয়ায় বাকলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ( ওসি) আবদুল রহিমকে মুঠোফোনে উক্ত অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বাস্তুহারা এরিয়া তার থানাদ্বীন এলাকা নয় বলে জাতীয় অভিযোগ পত্রিকাকে জানান। তিনি বাকলিয়া বাস্তহারা কে সিটি কর্পোরেশন এরিয়া বলে নির্ধারণ করেছেন। এখন প্রশ্নটা হলো পুরো সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে বিভিন্ন থানা এরিয়া কিন্তু থানা ছাড়া সিটি কর্পোরেশন এরিয়া কোনটা তা জানা নেই জাতীয় অভিযোগ পত্রিকার।
বাকলিয়া বাস্তহারা এলাকার অপরাধের সাথে জড়িতদের আরও তথ্য পেতে চোখ রাখুন জাতীয় সাপ্তাহিক অভিযোগ পত্রিকার পরের সংখ্যায়।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031