২৭শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১২ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ফিতরা যাদের জন্য দেয়া আবশ্যক

Weekly Abhijug
প্রকাশিত মার্চ ১৮, ২০২৩
ফিতরা যাদের জন্য দেয়া আবশ্যক

ফিতরা যাদের জন্য দেয়া আবশ্যক

অনলাইন ডেস্ক ধর্ম : ফিতরাও এক ধরনের জাকাত, একে সাদাকাতুল ফিতরও বলা হয়। জাকাতুল ফিতরা বলা হয় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গরিব দুস্থদের মাঝে রোজাদারদের বিতরণ করা দানকে।
রমাজানুল মোবারকের শেষে ফিতরা ওয়াজিব হয়ে যায় শরিয়তের মাধ্যমে নির্দিষ্ট করে দেয়া নির্দিষ্ট পরিমাণ ধনসম্পদের অধিকারীর ওপর অর্থাৎ সাহিবে নিসাবের ওপর। ঈদুল ফিতরের দিন সকালে নিসাব পরিমাণ ধনসম্পদের অধিকারী হলেই তার ওপর ফিতরা ওয়াজিব হয়ে যায়।

সাহাবি ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) সদকাতুল ফিতর অপরিহার্য করেছেন। এর পরিমাণ হলো, এক সা জব বা এক সা খেজুর। ছোট-বড়, স্বাধীন-পরাধীন সবার ওপরই এটি ওয়াজিব। (বুখারি, হাদিস : ১৫১২) সাদাকাতুল ফিতরের পরিমাণ সম্পর্কে হাদিস শরিফে দুটি মাপকাঠি নির্ধারণ করা হয়েছে। ১. ‘এক সা’ ২.‘নিসফে সা’। খেজুর, পনির, জব ও কিশমিশ দ্বারা আদায়ের ক্ষেত্রে এক ‘সা’=৩২৭০.৬০ গ্রাম (প্রায়), অর্থাৎ তিন কেজি ২৭০ গ্রামের কিছু বেশি। এ ছাড়া গম দ্বারা আদায় করতে চাইলে ‘নিসফে সা’=১৬৩৫.৩১৫ গ্রাম, অর্থাৎ এক কেজি ৬৩৫ গ্রামের কিছু বেশি প্রযোজ্য হবে।

আর নিসাবের পরিমাণ হচ্ছে সাড়ে সাত তোলা সোনা অর্থাৎ ৮৭.৪৫ গ্রাম সোনা অথবা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রৌপ্য অর্থাৎ ৫১২.১৫ রৌপ্য অথবা ওই পরিমাণ সোনা বা রৌপ্যের দামের অর্থ অথবা সম্পদ। ফিতরার জন্য নির্ধারিত নিসাবের অধিকারীকে ফিতরার জন্য নির্ধারিত মাথাপিছু হিসেবে গরিব-মিসকিনদের মধ্যে বিতরণ করতে হবে। সাহিবে নিসাব নিজের পরিবারের নাবালক সন্তানাদি, গৃহভৃত্য সবার ফিতরা তিনি আদায় করবেন। এমনকি ঈদুল ফিতরের দিন সকাল বেলার পূর্বে যদি কোনো সন্তান জন্মগ্রহণ করে তারও ফিতরা আদায় করবেন। ঈদের দিন সকালে ঈদের সালাত আদায় করতে যাওয়ার পূর্বে ফিতরা দেয়া উত্তম। ফিতরার মাধ্যমে রমাদানের সিয়ামের মধ্যে যদি কোনো অনিচ্ছাকৃত ছোটখাটো ত্রুটিবিচ্যুতি হয়ে থাকে তার প্রায়শ্চিত্ত সঞ্চিত হয়। নারী-পুরুষ, স্বাধীন-পরাধীন, শিশু-বৃদ্ধ, ছোট-বড় সব মুসলিমের জন্য ফিতরা দেয়া ওয়াজিব।

Please Share This Post in Your Social Media
September 2023
T W T F S S M
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
2627282930