২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সাম্প্রদায়িক দুর্বৃত্তদের জায়গা চট্টগ্রামে হবে না : নওফেল

Weekly Abhijug
প্রকাশিত জুন ২৯, ২০২৩
সাম্প্রদায়িক দুর্বৃত্তদের জায়গা চট্টগ্রামে হবে না : নওফেল

চট্টগ্রাম ডেক্স:

সম্প্রীতির বন্ধনই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের মূল ভিত্তি: নাছির

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, চট্টগ্রামে আমরা এক সাথে আনন্দ উৎসব করবো। পবিত্র ঈদে ও পবিত্র রথযাত্রার উৎসবে এক সাথে আমরা শামিল হবো। চট্টগ্রামে কোনো সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীদের জায়গা হবে না। এটাই আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। কোনো অপকৌশলের রাজনীতি বাংলাদেশে করতে দেয়া হবে না। প্রপগন্ডা চালিয়ে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে থামানো যাবে না। নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ. জ. ম. নাছির উদ্দিন বলেন, হাজার বছর ধরে এই ভূখন্ডে জাতি, ধর্ম ও বর্ণের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। সম্প্রীতি এ দেশের মানুষের সুমহান ঐতিহ্য। বিশ্বে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশের মানুষ অনেক বেশি ধর্মপরায়ণ বলে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি সর্বদাই সহনশীল। বাংলাদেশের মূল শক্তিই হলো বাঙালি জাতিসত্তা। জাতি হিসেবে আমরা বাঙালি। সবার ভাষাই বাংলা। প্রত্যেক ধর্মের মানুষ স্ব-স্ব ধর্ম পালন করলেও উৎসবের আনন্দ সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে উদযাপন করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা যথার্থ বলেছেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বারবার মৃত্যুর মুখে পড়তে হয়েছে। ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলাও তাঁর ওপর করা হয়েছে। ওই চক্রই বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদরাষ্ট্র হিসেবে কায়েম করতে চায়। সমাজে এসব জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে মোকাবিলায় সোচ্চার হতে হবে আপনাদের সবাইকে।চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ.টি.এম পেয়ারুল ইসলাম বলেন,এখনো বিশ্বে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অন্যতম উদাহরণ। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে গভীর সংহতি ও জাতীয় ঐক্য ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। হিন্দু- মুসলমান ঐক্যবদ্ধ হয়ে ব্রিটিশদের বিতাড়িত করেছে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানসহ সব ধর্ম এবং বর্ণের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে অংশগ্রহণ করেছিল- যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সে জন্যই ১৯৭২ সালের সংবিধানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। সেই থেকে বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে পথ চলতে শুরু করে। তারই সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির আদর্শ ভূমিতে পরিণত হতে চলছে।আজ নন্দনকানন শ্রীশ্রী রাধামাধব মন্দির ও গৌর নিতাই আশ্রম সম্মুখে ডিসি হিল প্রাঙ্গণে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) চট্টগ্রাম আয়োজিত বিশাল ২৬তম কেন্দ্রিয় উল্টো রথযাত্রার ধর্মীয় মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।নন্দনকানন ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ পন্ডিত গদাধর দাস ব্রহ্মচারীর সভাপতিত্বে ও তারণ নিত্যানন্দ দাস ব্রহ্মচারীর সঞ্চালনায় রথযাত্রায় মহান আশির্বাদক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসকনের হেডকোয়ার্টার ভারতের মায়াপুর হতে আগত ইসকনের অন্যতম সন্যাসী শ্রীমৎ ভক্তি দয়িত আদি পুরুষ স্বামী মহারাজ, উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দিন, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ.টি.এম পেয়ারুল ইসলাম।বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কাউন্সিলর প্রফেসর ড: নিছার উদ্দিন আহমেদ মন্জু, কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, ফটিকছড়ি উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ছালামত উল্লাহ চৌধুরী শাহীন, নানুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিউল আযম, জন্মাষ্টমী পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আশুতোষ দাশ, দক্ষিণ জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের লায়ন সন্তোষ কুমার নন্দী, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি সুজিত দাশ, যুব লীগ নেতা সন্জয় ভৌমিক কন্কন, মহিলা কাউন্সিলর রুমকী সেনগুপ্ত, মহানগর পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল, স্বাগত বক্তব্য রাখেন নন্দনকানন ইসকন মন্দিরের যুগ্ম সম্পাদক মুকুন্দ ভক্তি দাস ব্রহ্মচারী, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, নন্দনকানন ইসকন মন্দিরের সহ সভাপতি অকিঞ্চন গৌর দাস ব্রহ্মচারী, সুবল সখা দাস ব্রহ্মচারী, অপূর্ব মনোহর দাস ব্রহ্মচারী প্রমুখ। ঐতিহ্যবাহী মহাশোভাযাত্রা নন্দনকাননস্থ গৌর নিতাই আশ্রম প্রাঙ্গন থেকে শুরু হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে নন্দনকানন শ্রী শ্রী রাধামাধব মন্দিরে এসে শেষ হয়। মহাশোভাযাত্রায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা থেকে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে লক্ষাধিক ভক্তবৃন্দসহ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীবৃন্দ ব্যানার, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, পৌরাণিক সাজ ও বাদ্যযন্ত্র নিয়ে যোগদান করেন।

Please Share This Post in Your Social Media
April 2024
T W T F S S M
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30