৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

এইচএম এন আলমের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু, দুদকে তলব (পর্ব-১)

অভিযোগ
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০
এইচএম এন আলমের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু, দুদকে তলব (পর্ব-১)

 

“লেনদেন ও ঋণ সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে ব্যাংকে চিঠি, বাঁকখালীর জমি দখলের অভিযোগে”

এইচ এম আমান ::

কক্সবাজার শহরের খুরুশকুল সেতু সংলগ্ন বাঁকখালী নদী দখলের অভিযোগে এন আলম ফিলিং স্টেশনের মালিক ভয়ংকর প্রতারক,জালিয়াতি চক্রের হোতা    এইচএম নুরুল আলমের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁর একাউন্টের আর্থিক লেনদেনের তথ্য চেয়ে উত্তরা ব্যাংক কক্সবাজার শাখায় চিঠি দেয়া হয়েছে। এছাড়াও আগামি ২১ সেপ্টেম্বর এইচএম নুরুল আলমকে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এ তলব করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

 

 

দুদক সূত্র জানান, বাঁকখালী নদীর প্রায় ৫০০ একর জমি দখল করেছেন ১৫৭ জন প্রভাবশালী ব্যক্তি। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুদক। তারই অংশ হিসেবে বাঁকখালী নদীর খুরুশকুল সেতু সংলগ্ন প্রায় ২ একর জায়গা দখল করার অভিযোগে এইচএম এন আলমের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

 

 

সুত্র মতে, গত মঙ্গলবার প্রাথমিকভাবে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর উপসহকারি পরিচালক মো. শরিফ উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক নোটিশের মাধ্যমে তাকে দুদক সমন্বিত জেলা কাযালয় চট্টগ্রাম-২ এ তলব করা হয়েছে।

 

লেনদেন ও ঋণ সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে ব্যাংকে চিঠি

 

 

নোটিশে পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি চাওয়ার পাশাপশি এইচএম এন আলমকে আগামি ২১ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় নদীর তীরের সত্ত্ব সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র এবং এ বিষয়ে কোন মামলা কিংবা রায় হয়ে থাকলে তার রেকর্ডপত্র নিয়ে হাজির হতে অনুরোধ করা হয়।

 

 

নির্ধারিত সময়ে তিনি হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদানে ব্যর্থ হলে ‘অভিযোগ সংক্রান্ত তার কোন বক্তব্য নেই’ বলে গণ্য করা হবে।

 

 

এদিকে এক চিঠিতে উত্তরা ব্যাংক কক্সবাজার শাখার কাছে এইচএম এন আলমের আর্থিক লেনদেন ও ঋণ দিয়ে থাকলে তার সত্যায়িত কপি চেয়েছে দুদক।

 

 

চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন দুদক সমন্বিত জেলা কা চট্টগ্রাম-২ এর উপসহকারি পরিচালক মো. শরিফ উদ্দিন।

 

 

এ বিষয়ে কথা বলতে বুধবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে এইচএম এন আলম বলেন, খুরুশকুল সেতু সংলগ্ন এলাকায় আমার মালিকানাধীন কোন জায়গা নেই। আমি কোন জায়গাও দখল করিনি।

 

 

তিনি বলেন, আমার কিছু গরীব আত্মীয়-স্বজনের কিছু জায়গা আছে সেখানে। মূলত সেগুলো আমি দেখাশোনা করি। তারা আমমোক্তারনামা মূলে জায়গাগুলো আমাকে দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়েছেন।

 

 

এইচএম এন আলম প্রথমেে দুদকের নোটিশের বিষয়টি জানেন না বলেন। পরে স্বীকার করেন,দুদক আমাকে নোটিশ দিয়ে তলব করেছে বলে শুনেছি। আমি আমার আত্মীয়-স্বজনের জায়গা সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়ে ওইদিন অবশ্যই দুদক কার্যালয়ে হাজির হবো।

 

 

এদিকে, কেরোসিন বিক্রির করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে যাওয়া এই এন আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। গত কয়েক বছরের ব্যবধানে কোটি কোটি টাকার মালিক ও সহায় সম্পত্তির মালিক হওয়া নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ছাড়াও জেলাবাসি হতবাক।

 

 

আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন সহ তার আয়ের উৎস তদন্ত করলে থলের বিসুত্রে প্রাপ্ত অভিযোগেে জানা গেছে, এই এন আলমের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগেে মামলা রয়েছে। ভুয়া খতিয়ানেে জমির আমমোক্তারনামা গ্রহণ, সরকারী কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কালো টাকা নিয়ে নিজের প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার, জমি ও হোটেল দখল, ইয়াবায় পৃষ্ঠপোষকতাসহ নানান অভিায়োগ আছে তার বিরুদ্ধে।

 

(চলবে)

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031