৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সাংবাদিক রানা সাত্তার কে প্রান নাশের হুমকি

অভিযোগ
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২, ২০২০
সাংবাদিক রানা সাত্তার কে প্রান নাশের হুমকি

 

নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ চট্টগ্রামের সাংবাদিক রানা সাত্তার (৩৩) কে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় তিনি মঙ্গলবার আনোয়ারা থানায় অভিযোগ করেন।

 

রানা সাত্তার, আনোয়ারা ২নং বারশত,বোয়ালিয়া এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা।তিনি ইংরেজীতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষে সুনামের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ সাংবাদিকতা করছেন।

 

তিনি বর্তমানে ” দৈনিক তৃতীয় মাত্রা”(আনোয়ারা) ও “সাহারা টেলিভিশন” (চট্টগ্রাম ব্যুরো চিপ) হিসাবে দুটি সংবাদমাধ্যমের চট্টগ্রামের কাজ করে আসছেন। তিনি চট্টগ্রাম সাংবাদিক ফোরাম বিভাগীয় কমিটি’র যুগ্ন সাংগঠনিক সম্পাদক।

 

তাকে বহুদিন যাবৎ একটি সংঘবদ্ধ চক্র তার সম্মানহানিকর লিখালিখি,ফোনে হুমকি,গভীর রাতে বাড়িতে হুমকিসহ ও তার পরিবারের অর্থ সম্পদ আত্ত্বসাতের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে।

 

রানা সাত্তার বলেন,সোহাগ খা নামের কুড়িয়ে পাওয়া এক ছেলেকে আমার বাবা আশ্রয় দিয়ে বড় করে তোলেন।পরে সেই ছেলে বারশত ইউনিয়নের ওয়াহেদ পাড়া থেকে বিয়ে করেন।

 

আমার বাবা (মরহুম আবদুস সালাম) কে বাবা ডেকে মন জয় করে নেন। পরে তার মা মেরী বেগম নিজেকে স্ত্রী দাবি করেন।

 

পালিত সন্তানটিকেও লেলিয়ে দিয়ে বাবা বলে সম্বোধন করে এবংপরে সুকৌশলে তারা আমার বাবার অবসরের সকল পাওনা ও এককালীন ২৮ লক্ষ টাকাসহ,ব্যাংক নমিনি,অফিসের সকল নমিনি ও তার ব্যাবহারিক জিনিসপত্রসহ স্থাবর-অস্থাবর হাতিয়ে নেয় তার মা ও সোহাগ।

 

এক পর্যায়ে,আমার বাবার মৃত্যুর পর তাদের যাবতীয় মুখোশ খুলে যায়।তখন তাদের পরিচয় মিলে মেরী বেগম আগে বিয়ে হয় চান খা নামক এক ডাকাত সর্দারের সাথে।সেই ঘরে সোহাগ খা’র জন্ম হয়।

 

যেহেতু সরকারি চাকুরির সুবাদে আমার বাবা ও আমি দীর্ঘদিন বিভিন্ন জেলায় ব্যাচেলর ছিলাম।ঠিক তেমনি বরিশালে থাকা অবস্থায় মেরি বেগম সোহাগ খা কে নিয়ে আমাদের বাসায় রান্না করে দিতে আসতো।

 

তখন বহুবার সোহাগ খা এর বাবা চান খা আমার বাবাকে বুহুবার শাররীক নির্যাতন চালিয়েছিল।

 

সর্বশেষ তাদের হাতেই বিনা চিকিৎসায় আমার বাবা মারা যায়। যদিও তার অবসরের বড় অংকের একটি টাকা ছিল কিন্তু তারা মা-ছেলে পুরাটাই আত্ত্বসাত করে ফেলে।যার ফলে তারা আর ভাল হাসপাতালে চিকিৎসা করায়নি।

 

এইসব কিছু নিয়ে আমার বাবার মৃত্যুর ৪১ দিন পর ১৩ই ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সালে একটি ঘরোয়া বৈঠক হয়।

 

তখন সোহাগ ও তার মাকে নিয়ে বিভিন্ন সমস্যা সমাধান নিয়ে কথা উঠলে তারা সেখান থেকে ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে পালিয়ে যায় ২০১৭সালে।তবে পালিয়ে তারা তাতে ক্ষান্ত হননি।

 

বিগত চার বছর ধরে তার শশুরবাড়ির লোকজন ও দুই শ্যালক শওকত (৩০) ও হাসমত (২৭) কে বরাবরই লেলিয়ে দেয়া হয় আমার পিছনে।

 

আমার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে তারা বহুবার বিভিন্ন অপকৌশল,অপপ্রচার, মিথ্যা,ভিত্তীহিন, বানোয়াট সোস্যাল মিডিয়াতে লিখালিখিসহ প্রান নাশের হুমকি দেন।তারা গভীর রাতে বাড়িতে গিয়ে হুমকি ও আমার বৃদ্ধা মা ও ভাবির সাথে অশোভনীয় আচরন ও আশালীন ভয়ভীতি দেখাতে থাকে।

 

তারা জোরালো কন্ঠে বলে আসেন বিভিন্ন কৌশলে বিভিন্নভাবে এমন ভাবে ফাসাবেন আমাকে যেন আমার মায়ের ছেলে হারানো কষ্টে রাস্তায় নামতে হয়।

 

তারা এক পর্যায়ে আমার সাংবাদিকতা পেশাকে কেন্দ্র করে আজে-বাজে লিখতে থাকেন।এহেন অবস্থায় আমি আইনের দারস্থ হই।বর্তমানে আমি নিজের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

 

সাংবাদিককে হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি শিব্বির আহমেদ ওসমান। তিনি দ্রুত হুমকিদাতাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।

 

আনোয়ারা থানার দায়িত্বরত পুলিশ অফিসার বলেন, এ ঘটনায় সাংবাদিক রানা সাত্তার নিরাপত্তা চেয়ে একটি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031