ছাতক প্রতিনিধিঃ-
ছাতকে টানা এক সপ্তাহ ধরে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ঘর বাড়ীসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। আজ ১২ জুলাই বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় গ্রামঞ্চলের বিভিন্ন রাস্তা ঘর বাড়ী পানির নিচে পানিবন্দী মানুষের জন্য কোনো আশ্রয় কেন্দ্র খোলার খবর এখনো পাওয়া যায়নি।
সাপ্তা খানেক টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে উপজেলার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর, নোয়ারাই,ছাতক শহর,কালারুকা,চরমহল্লা ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামের মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। এমনকি গ্রামীণ রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলা সদরের সঙ্গে বেশ কয়েকটি এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া গোবিন্দগঞ্জ সৈদের গাঁও,ছৈলা- আফজালাবাদ, জাউয়াবাজার, দোলারবাজার, ভাতগাঁও, উত্তর খুরমা, দক্ষিণ খুরমা, সিংচাপইড়, ইউনিয়নসহ পানি প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ছাতক পয়েন্টে সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদীর পানি বিপদসীমার ৫২ সে:মি: উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভারী বর্ষণের ফলে এখানে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। নদীর পানি প্রবল বেগে প্রবাহিত হওয়ায় নৌ-পথে ছোট-ছোট ফেরি নৌকা চলাচল প্রায় বন্ধ । প্রবল বর্ষণে সুরমা, পিয়াইন ও চেলা নদীতে পাথর ও বালুবাহী বার্জ-কার্গো ও বাল্কহেড নৌকায় লোডিং-আনলোডিং বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন শ্রমিকরা। নিম্নাঞ্চলের বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করায় চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। বেশ কয়েকটি মাছের খামারের মাছ ভেসে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে দুই-এক দিনের মধ্যেই ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে সারাদেশের সঙ্গে ছাতকের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। মানবাধিকার কর্মী দিলোয়ার হোসেন জানান ইসলামপুর ইউনিয়নের রাশনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধনিটিল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রহমত পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাদাচান পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোয়ালগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জামুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গনেশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ,সহ বেসরকারি স্কুল মাদ্রাসা পাঠদান বন্ধ রয়েছে। খবর নিয়ে জানা যায় সৈদের গাঁও,মহদী,খাস গাঁও,মামধপুর,পুরান সিংচাপইড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উপজেলার উচ্চ বিদ্যালয়,প্রাথমিক বিদ্যালয় বেশিরভাগ বন্দ রয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মানিক চন্দ্র দাস জানান আমাদের তথ্য অনুযায়ী মোট ১০ টি বিদ্যালয় বন্ধ দেয়া হয়েছে, তবে আরো বেশ কয়েক টি বন্দ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।