২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে মুরগির দাম, সবজি আগের মতোই

Weekly Abhijug
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩
সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে মুরগির দাম, সবজি আগের মতোই

ঢাকা: সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে সব প্রজাতির মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। গরু ও খাসির মাংস আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। আর বাজারগুলোতে সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তালতলা ও শেওড়াপাড়া বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহ ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১০ টাকা বেড়ে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগের সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল।
২০ টাকা বেড়ে সোনালি ৩৪০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩২০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৪০ টাকা এবং লেয়ার ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারে মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে।
এদিকে বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংসের কেজি ১ হাজার ৫০-১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শেওড়াপাড়া বাজারের মুরগি বিক্রেতা রাকিব বলেন, আমাদের দাম বাড়ানোর কিছু নেই। আমরা প্রতিদিন পাইকারি বাজার থেকে মুরগি কিনে এনে বিক্রি করি।
তিনি বলেন, পাইকারি বাজারে দাম বাড়লে আমরাও বাড়িয়ে বিক্রি করি, কমলে কমিয়ে দেই। গত সপ্তাহে সব ধরনের মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কম ছিল।
ক্রেতাদের অভিযোগ, সরকারি ছুটির দিনগুলোতে ব্যবসায়ীরা সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দেন। ক্রেতাদের জিম্মি করে তারা ব্যবসা করছেন। কারণ ছাড়াই নানা অজুহাতে বিক্রেতারা পণ্যে দাম বাড়িয়ে দেন। খুচরা বাজারে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় এমনটি হচ্ছে বলে মনে করেন তারা।
তালতলার নতুন সড়কে বাজার করতে আসা মো. ওয়াসিম বলেন, গত বুধবার ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা কেজি করে কিনেছিলাম, আজ তা ১৯০ টাকা।  বিক্রেতারা নানা অজুহাতে পণ্যের দাম বাড়িয়ে ভোক্তাদের এক ধরনের জিম্মি করে ফেলেছেন। বাজারে সরকারের মনিটরিং ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে এমনটি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়। দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকা।

প্রতি কেজি শিং মাছ (আকারভেদে) ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, রুই মাছ (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, মাগুর মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, মৃগেল ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়, পাঙাশ ১৯০ থেকে ২২০ টাকা, ইলিশ (আকারভেদে) ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা, বোয়াল ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, কাতলা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, পোয়া ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই মাছ ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা, মলা ৪৫০ টাকা, ট্যাংরা ১ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৮০ টাকা, প্রতিটি লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

পেঁপের কেজি ৪০ টাকা, লেবুর হালি ১০ থেকে ২০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ৪০০ টাকা, কলার হালি ৩০ টাকা, জালি কুমড়া প্রতিটি ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি দরে। দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকা কেজি দরে, ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ টাকা, কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজি কিছুটা চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। ছোট বাঁধাকপি প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ছোট আকারের ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মুলার কেজি ৪০ টাকা, শিম ২০০ থেকে ২৪০ টাকা, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ১০০ থেকে ১৬০ টাকা ও গাজর ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media
September 2023
T W T F S S M
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
2627282930  

নাগরপুরে নদী ভাঙন এলাকায় পথ সভা করলেন পানি সম্পদ উপউপ -মন্ত্রী মোঃ শফিকুল ইসলাম সবুজ (টাঙ্গাইল) টাংগাইলের নাগরপুরে নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন ও পথ সভা করলেন পানি সম্পদ উপ- মন্ত্রী একে এম এনামুল হক শামীম। নাগরপুরের সলিমাবাদ ইউনিয়ন নদী ভাঙনের কারণে ভিটেমাটি হারা মানুষের উদ্দেশ্য পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, নদী ভাঙ্গনের কবল থেকে মানুষকে রক্ষা করতে যা যা করার দরকার তার সবই করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশনা দিয়ে দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে তারা কাজও শুরু করছে। তিনি আজ সিরাজগঞ্জ চৌহালী উপজেলার খাষ পুখুরিয়া হতে চর-সলিমাবদ পর্যন্ত যমুনা নদীর বামতীরের ভাঙ্গন হতে রক্ষাকল্পে নদী তীর সংরক্ষন” শীর্ষক প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন কালে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষের সাথে মত-বিনিময় সভায় এ কথা বলেন মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল-৬ নাগরপুর দেলদুয়ার আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু, সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মন্ডল, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এর মহাপরিচালক মোঃ রমজান আলী প্রামানিক, টাঙ্গাইল জেলা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আবুর রহিম সুজন, নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদুজ্জান, নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সলিমাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীদুল ইসলাম (অপু), গয়হাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ সামছুল হকসহ থানা আওয়ামীলীগ ও বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক সহ বিভিন্ন পর্যাযের ব্যক্তিবর্গ এসময় উপস্থিত ছিলেন।