৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ছাতকের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

অভিযোগ
প্রকাশিত জুলাই ১২, ২০১৯
ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ছাতকের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

 

জামরুল ইসলাম রেজা ছাতক থেকেঃ-
ছাতকে টানা এক সপ্তাহ ধরে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার নিম্নাঞ্চলসহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে গ্রামাঞ্চলের ঘর-বাড়িসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। তবে পানিবন্দী মানুষের জন্য কোনো আশ্রয় কেন্দ্র খোলার খবর এখনো পাওয়া যায়নি।
কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে উপজেলার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ও নোয়ারাই ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামের মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। এমনকি গ্রামীণ রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলা সদরের সঙ্গে বেশ কয়েকটি এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া কালারুকা, চরমহল্লা, জাউয়াবাজার, দোলারবাজার, ভাতগাঁও, উত্তর খুরমা, দক্ষিণ খুরমা, সিংচাপইড়, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও, ছৈলা-আফজলাবাদ, ছাতক সদর ইউনিয়নসহ পৌরসভার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ছাতক পয়েন্টে সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদীর পানি বিপদসীমার ৫০ সে:মি: উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভারী বর্ষণের ফলে এখানে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। নদীর পানি প্রবল বেগে প্রবাহিত হওয়ায় নৌ-পথে ছোট-ছোট ফেরি নৌকা চলাচল প্রায় বন্ধ । প্রবল বর্ষণে সুরমা, পিয়াইন ও চেলা নদীতে পাথর ও বালুবাহী বার্জ-কার্গো ও বাল্কহেড নৌকায় লোডিং-আনলোডিং বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন শ্রমিকরা। নিম্নাঞ্চলের বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করায় চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। বেশ কয়েকটি মাছের খামারের মাছ ভেসে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে দুই-এক দিনের মধ্যেই ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে সারাদেশের সঙ্গে ছাতকের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031