৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

দল সুসংগঠিত থাকলে সরকার সফল হবে : প্রধানমন্ত্রী

অভিযোগ
প্রকাশিত জানুয়ারি ৩, ২০২০
দল সুসংগঠিত থাকলে সরকার সফল হবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা – ফাইল ছবি

 

অভিযোগ প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটা সরকার তখনই সফল ভাবে কাজ করতে পারবে যখন তার দল সুসংগঠিত থাকে। দল সুসংগঠিত থাকলে এটা সরকারের জন্য বিরাট শক্তি। যেই শক্তি সবচেয়ে বেশি কাজে লাগে দেশকে উন্নত করতে। যেটা আমি নিজে উপলব্ধি করি। সে জন্য আমি সংগঠনের ওপর সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেই।

 

শুক্রবার (০৩ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের প্রথম যৌথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেছেন, আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য ছিল, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ব্যর্থ হতে পারে না, এটা প্রমাণ করা। এখন আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলব, এটা আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সবসময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়। দলকে তারা নিজেদের জীবনপণ করেই সংগঠনকে ধরে রেখেছ।আজকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটা শক্তিশালী সংগঠন।

তিনি আরও বলেন, এখন লোক সংখ্যা বেড়ে গেছে, আমাদের জেলা বেড়ে গেছে। সব জেলাগুলোকে সংগঠিত করে আসা, সম্মেলন করা গুরুত্বপূর্ণ। সব জেলায় সম্মেলন এখনো আমরা করতে পারিনি। অনেক জায়গায় সময় দিয়েও আমাদের স্থগিত করতে হয়েছে। কারণ ডিসেম্বর মাসের রাষ্ট্রীয় প্রোগ্রাম থাকে। এখন পরিকল্পনা নিয়ে যেগুলো সম্মেলন বাকি আছে,সেগুলোর সম্মেলন করে সংগঠনকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে। একটা সফল জাতীয় সম্মেলন আমরা করেছি।

তিনি বলেন, ২০২০ সাল বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাল। যে বছর হচ্ছে জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকীর বছর। আগামী ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস থেকে এই জন্মশতবার্ষিকীর কাউন্টডাউন শুরু হবে।

আওয়ামী লীগ স্মার্টনেস দেখাতে পেরেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ৮১ সালে দেশে এসে আমি শুনেছি, আওয়ামী লীগের নেতারা স্মার্ট না। আওয়ামী লীগ আধুনিক সংগঠন না। আওয়ামী লীগ এটা না… আওয়ামী লীগ সেটা না.. । আওয়ামী লীগ এটা পারবে না। আওয়ামী লীগে শিক্ষিত লোক নেই। তখন অনেক কথা শুনতে হত। অনেক অপবাদ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দেয়া হতো।

 

কিন্তু যারা নিজেদের স্মার্ট বলে ক্ষমতায় এসেছে, তারা ক্ষমতায় আসত শুধু লুটপাট করতে। মানিলন্ডারিং করতে আর দুর্নীতি করতে। তাদের স্মার্টনেস ছিল শুধু নিজেদের অর্থনৈতিক শক্তিকে বাড়ানো। কিন্তু দেশের মানুষ সেই স্মার্টদের কাছ থেকে কিছুই পায়নি। কিন্তু স্মার্টনেস দেখাতে পেরেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ দেখিয়েছে একটি রাষ্ট্র পরিচালনা ও জনগণের ভাগ্য কিভাবে পরিবর্তন করতে হয়। বহু অপবাদ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দেয়া হয়েছে কিন্তু আজকে আমরা প্রমাণ করেছি আওয়ামী লীগই একমাত্র দেশকে উন্নত করতে পারে।

শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ এখন এটা বিশ্বাস করে যে আওয়ামী লীগ থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়। আমরা এটা প্রমাণ করতে পেরেছি। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সারাবিশ্বে মর্যাদা পেয়েছে।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালে মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করে দলকে সুসংগঠিত করার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। সাধারণত মানুষ দল ছেড়ে দেয়, মন্ত্রিত্বের লোভ। আর জাতির পিতা মন্ত্রিত্ব ছেড়ে ছিলেন সংগঠন কে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করার জন্য। তখন তিনি সারা দেশ চারণের বেশে ঘুরে বেরিয়েছিলেন।

৭৫ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, সে সময় আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাদের কারাগারে রাখা হয়েছে। এখনো অনেকের শরীরের সেই অত্যাচারের চিহ্ন রয়েছে। কত মানুষকে সে সময় গুম খুন করেছে। ছাত্রলীগের মফিজ- বাবু, যুবলীগের ফারুক থেকে শুরু করে, চট্টগ্রামে, বগুড়ায় বিভিন্ন জায়গায়, দলের কর্মীদের নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। আমরা যদি এই ঘটনা গুলো খুঁজে বের করি তাহলে অনেক ঘটনা আমরা পাব, যে কিভাবে এসব নেতা-কর্মীদের তুলে নিয়ে গেছে, তাদের পরিবার লাশও পায়নি। অনেক অত্যাচারের কাহিনী কিন্তু রয়ে গেছে আমাদের।

অত্যাচার-নির্যাতনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করা যায়নি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ সকল অত্যাচার ও নির্যাতনের উদ্দেশ্যেই ছিল আমি আওয়ামী লীগকে শেষ করে দেয়া।

 

এর আগে দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুর ইসলামকে উৎসর্গ করে ওই যৌথ সভার শুরু হয়।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031