অভিযোগ ডেস্ক : জুয়াড়িদের প্রস্তাব গোপন রাখার অভিযোগে নিষিদ্ধ হচ্ছেন জাতীয় দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। আইসিসির ১৮ মাসের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে যাচ্ছেন তিনি।
সম্প্রতি এ বিষয়ে আইসিসির অ্যান্টিকরাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিটের (আকসু) মুখোমুখি হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। এ সময় তিনি না জেনে ভুলটি করে বসেছেন বলেও স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তবে সাকিব আল হাসানের আশা, সাজার মেয়াদ হয়তো খুব বেশি দিন হবে না।
আইসিসির ধারা ২.২.৪ থেকে ২.২.৬- এ অংশে অভিযুক্ত হয়েছেন সাকিব। যার শাস্তি সর্বনিম্ন ছয় মাস থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর নিষিদ্ধ হওয়া। তবে যেহেতু আকসুর সঙ্গে তিনি সহায়তা করেছেন এবং অতীতে তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের রেকর্ড নেই, তাই আবেদন করলে সেটি কমে ছয় মাস করতে পারে আইসিসি।
তবে এ জন্য বিসিবি নয়, সাকিবকেই শাস্তি কমানোর আবেদন করতে হবে। সাকিব আল হাসানের ঘনিষ্ঠ এক সূত্রে জানা যায়, সাকিব এই আবেদন করার জন্য মানসিক এবং আইনি প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছেন।
প্রসঙ্গত, গত দুই বছর আগে একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচের আগে এক ক্রিকেট জুয়াড়ির (বুকি) কাছ থেকে অনৈতিক প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব। সেটি তৎক্ষণাৎ প্রত্যাখ্যান করলেও আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগকে না জানিয়ে গোপন করেন তিনি।
বিষয়টি পরে আইসিসি জানতে পারে। আন্তর্জাতিক জুয়াড়িদের কল রেকর্ড ট্র্যাকিং করে এ ব্যাপারে তারা তথ্য উদ্ধার করে। ওই জুয়াড়ি আইসিসির কালো তালিকায় থাকাদের একজন। বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার পর সম্প্রতি সাকিবের সঙ্গেও কথা বলেন আইসিসির অ্যান্টিকরাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিট (আকসু) প্রতিনিধি।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, সাকিবও নিজের ভুল স্বীকার করেছেন আকসু তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে। আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেছেন, জুয়াড়ির প্রস্তাবকে গুরুত্ব দেননি বলেই জানাননি। বিষয়টি হালকাভাবে নেওয়াটাই তার জন্য কাল হয়েছে। সব ধরনের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছেন তিনি।
বিসিবির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আজ অথবা আগামীকাল সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সাকিবের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানাবে আইসিসি। বিসিবি এরই মধ্যে এ বিষয়ে অবগত হয়েছে।