নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধীনস্থ সানমুন কোম্পানীর স্টাফ বহুরূপী হাসিনা বেগমের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
গত (২ অক্টোবর) থেকে ওসমানী হাসপাতালে ডিউটি বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার রওশন হাবীব। এরপর থেকে হাসিনা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তার ডিউটি বন্ধ হওয়াতে লেবার ওটিতে শান্তিতে ডিউটি করছেন অন্যান্য স্টাফরা।
স্টাফরা জানান- হাসিনা ডিউটিতে আসলে বসে সময় পার করে। মেডিকেল সূত্রে জানা গেছে- হাসিনা একজন এইডস রোগী। সম্প্রতি তার একটি সন্তান প্রসবের সময় এই ভয়ানক রোগটিদ্বরা পড়ে। এরপর হাসপাতালে ১৫ নং ওয়ার্ডে দীর্ঘদিন ভর্তি ছিলও। হাসিনার এই সন্তানকে নিয়েও নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তার সহকর্মীদের মধ্যে। কারণ ডেলিভারির সময় স্বামীর ছিলও ফয়েজ আহমদ।
আর ডেলিভারির পার পলিও টিকার কার্ডে সন্তানের পিতার নাম পরিবর্তন। যার প্রমাণ মেডিকেলের ১৫ নং ওয়ার্ডে ও মডেল ক্লিনিকে এখনও বিদ্যমান রয়েছে। এখন সে এইডস রোগী হিসাবে পরিচিত।
যার ফলে কোন পুরুষ তার সাথে সম্পর্ক করতে রাজি হয়নি। এতবড় রোগ হওয়ার পরও হাসিনা কোন কিছুর তোয়াক্কা করছে না। দিন দিন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
হাসপাতাল সূত্রে আরও জানায়- মেডিকেলের ৪র্থ শ্রেণীর এক নেতা ও সরকারী আরেক স্টাফের সাথে রয়েছে তার অনৈতিক। যার কারণে সে মেডিকেলে কোন কিছুর তোয়াক্কা করছে না। আর ডিউটি বন্ধ হওয়ায় কিপ্ত হাসিনা এখন গ্রুপিং করতে ব্যাস্ত সময় পার করছে। এমনকি ডিউটি ফিরে পেতে তার দেহিক দালাল অত্র মেডিকেলের সরকারি স্টাফদের নিয়ে কোম্পানীর লোকজনের দ্বারেদ্বারে গুরছে। কিন্তু কিছুতেই পাত্তা দিচ্ছে না কোম্পানীর কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়- সিলেটের গোলাপগঞ্জের বাদেশ্বর এলাকার বাসিন্দা হাসিনা বেগম স্বামীর ঘর ছেড়ে সিলেট নগরীতে পাড়ি জমায় প্রায় দশ-বারো বছর আগে। সিলেট অবস্থানের পর বিয়ে করে ফয়েজ নামের এক ব্যাক্তিকে। এরপর চাকুরি খুঁজতে শুরু করে বহুরূপী ওই নারী। কিন্তু কোথাও তার চাকুরি না হলেও বেছে নেয় ওসমানী হাসপাতালের ক্লিনারের কাজ। তৎকালীন সময় ক্লিনারের দায়িত্বে ছিলো গাউছিয়া কোম্পানী এই কোম্পানীর মাধ্যমেই তার চাকুরি জীবন শুরু। এখন ওই নারী আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। কয়েকজন সরকারি স্টাফের সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক। যার ফলে হাসিনা হাসপাতালের যে ওয়ার্ডে ডিউটি করে ওই ওয়ার্ডেই তার রামরাজত্ব। ওয়ার্ডে রোগীর সাথে খারাপ আচরণসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সূত্র জানায়- হাসিনা ফয়েজের ঘর ছাড়ার পর সুনামগঞ্জের আব্দুলাহ নামের ব্যাক্তির সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে দীর্ঘ মাস খানেক সম্পর্কের পর আব্দুলাহর কাছ থেকে সকল টাকা কড়ি হাতিয়ে নেয় হাসিনা। সম্প্রতি সানমুন কোম্পানীর স্টাফ হাসিনা বেগম তার স্বামী ফয়েজকে ছেড়ে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
অভিযোগে প্রকাশ হাসিনা মেডিকেলে ভিতরে একটি চক্র তৈরি করে একেরপর এক দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে হাসপাতালের লেবার ওটির পোষ্ট অপারেটিভে ডিউটি করে। এখান থেকে দৈনিক হাজার টাকার ঔষধ বাণিজ্য করছে। এমনকি মেডিকেলের বহিরাগত দালালদের সাথে রয়েছে তার গভীর সম্পর্ক। আর এই সম্পর্কের কারণে সে রোগীদের ঔষধ পাচার থেকে শুরু করে সকল ধরণের অনিয়ম আর দূর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু একজন কোম্পানীর স্টাফ তার এত প্রভাব। এ নিয়ে হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে চলছে নানান গুঞ্জন।
সূত্র আরো জানায়- হাসিনা ইয়াবা ব্যবসা থেকে শুরু সকল-অপকর্মের সাথে জড়িত থাকার পরও থাকে ওই কোম্পানী থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে না।
এরই পিছনে রয়েছে হাসপাতালের সরকারি স্টাফদের সাথে টাকা ও দেহিক সম্পর্ক। যার ফলে সে কোন কিছু পরোয়া না করে চালিয়ে যাচ্ছে তার সকল অপকর্ম। হাসিনা নিজেকে সানমুন কোম্পানী থেকে বহিষ্কার করতে গেলেই বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয় কোম্পানীর কর্মকর্তাদের। বর্তমানে হাসিনা দেহের প্রভাব খাঁটিয়ে লেবার ওয়ার্ডে ডিউটি করছে। তাকে ভালো ওয়ার্ডে রোস্টার দিতে হয়। না হলে শুরু করে নানান তালবাহানা। হাসিনার এই সকল অপকর্ম, অনিয়ম ও দুর্নীতি থেকে ওসমানী হাসপাতালের সুনাম রক্ষা করতে পরিচালকের নিকট আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন সিলেটের সচেতন মহল।