বিশেষ প্রতিনিধিঃ অফিস চলাকালীন দৈনিক মজুরিতে কর্মরত (ওমেদার) এক নারীর স্পর্শকাতরস্থানে হাত দিয়েছেন গাজীপুরের কালিয়াকৈরের এক ভূমি উপসহকারি কর্মকর্তা।
উপজেলার শ্রীফলতলী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারি কর্মকর্তা আব্দুল বাছেদ পহেলা অক্টোবর এই কাণ্ড ঘটানোর পর অফিসের কর্মচারী ছাড়াও বিক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে স্থানীয়রা।
অভিযুক্ত কর্মকর্তা ‘নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধ’ ছাড়াও অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িত বলে জানিয়েছে তারই সহকর্মীরা।
ভুক্তভোগী নারী ও তার সহকর্মীদের ভাষ্যমতে, আব্দুল বাছেদের তত্ত্বাবধানে ওই অফিসে দৈনিক মজুরিতে কয়েকজন কাজ করেন। যাদের একজন হলেন ভুক্তভোগী ওই নারী। যাকে দীর্ঘদিন ধরে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন বাছেদ। এতে রাজি না হওয়ার ক্ষিপ্ত ছিলেন বাছেদ।
“গত ১ অক্টোবর অফিসের ৩ ও ৪ নম্বর ভলিয়ুম সংক্রান্ত জটিলতায় ওই নারীকে নিজ কক্ষে ডাকেন আব্দুল বাছেদ। বিকেল চারটার দিকে দুটি ভলিয়ুম নিয়ে সেখানে যান ওই নারী। তখন তার মুখমন্ডল ও স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন আব্দুল বাছেদ।”
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) লিখিত আকারে জানিয়েছেন ওই নারী।
ঘেঁটে পাওয়া তথ্যমতে, ‘নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে আগের কর্মস্থল থেকে শ্রীফলতলী ইউনিয়ন ভূমি অফিসে বদলী হয়েছিলেন আব্দুল বাছেদ।’
অভিযুক্ত আব্দুল বাছেদের ভাষ্য, “ভলিয়ুম নিয়ে কক্ষে ঢুকলে ওই নারীকে তিনি বসানোর চেষ্টা করেন। তখন তার মুখমন্ডলে আঙুলের আচড় লেগে যায়। তবে যৌন হয়রানির অভিযোগটি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র বলে দাবি তার।”
শ্রীফলতলী ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা মাসুদুল আলম ভূইয়া জানিয়েছেন, ‘আব্দুল বাছেদের কক্ষ থেকে ওই নারী কান্না করে বের হওয়ার দৃশ্য দেখার পর তিনি সেখানে গেলে বাছেদ দৌড়ে পালায়। তখন ওই নারীর মুখমন্ডলে রক্ত দেখতে পান তিনি।’ বিষয়টি ইউএনও ও এসিল্যান্ডকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ইসতিয়াক আহমেদ জানিয়েছেন, ‘একজন নারী কর্মীর গায়ে তিনি হাত দিতে পারেন না। বাছেদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।