এস আল-আমিন খানঁ, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ দুর্নীতির বিশাল এক রহস্য জাতীয় পরিচয় পত্র স্মার্ট কার্ড বিতরনে।হারানো আইডি কার্ড ফিরে পেতে ৩৬৮ টাকা ব্যাংক ড্রাফ নিয়মের সঠিক আইনকে ব্যাবহার করে নির্বাচন কমিশনকে সচ্ছতা দেখিয়ে একদম সবার চোখের সামনে পাবলিকের কাছ থেকে নেয়া কোটি কোটি টাকার কোন ডকুমেন্টারি না দিয়ে খুব চালাকির সাথেই স্মার্ট কার্ড বিতরনকারীরা গভমেন্ট খাতে টাকা জমা না দিয়ে নিজেদের পকেটে ভরছে।এমনভাবে নাটক সাজিয়ে তারা মাঠে কাজ করছে তারা যেন নেই তাদের কোন অনিয়ম। অথচ কোন প্রকার মোবাইল ম্যাসেজ আর টাকার রিসিভ পাচ্ছে না সাধারন জনগন।এনিয়ে তাদের কাছে সঠিক তথ্য নেই বলে স্থান ত্যাগ করে পালায়িছে ডাচ বাংলা ব্যাংক কর্মকর্তা পরিচয়ের রাজীব দাস।এই ড্রাফের কাজটি করছে বরিশালের কোন এক ডাচ বাংলা ব্যাংক মোবাইল এজেন্ট। মিডিয়া জানতে গেলে,প্রথমে নিজেকে একজন ডাচ ব্যাংক কর্মকর্তা পরিচয় দেয় পরে মিডিয়াকে কোন প্রকার তথ্য না দিয়ে পালিয়ে যায় মিথ্যে ব্যাংক কর্মকর্তা পরিচয় প্রদানকারী রাজীব।এরপরে তার মুঠোফোনটি বন্ধ।অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসলো অজানা সকল রহস্যের ঘটনা। রাজিব ব্যাংক ড্রাফ করছে তিনি একজন ব্যাংক কর্মকর্তা নয় সে বরিশাল পার্থ কম্পিউটার দোকানের মোবাইল ডাচ বাংলা ব্যাংক এজেন্টের একজন কর্মচারী।কে এই পার্থ তিনি কি করেন, মুঠোফোনের আলাপে জানাগেলো সে একজন ডাচ বাংলা ব্যাংক মোবাইল এজেন্ট পার্থ কম্পিউটার নামে একটি দোকানের মালিক।তিনি বলেন সরকারি চুক্তি অনুযায়ী এই কাজ করছে কিন্তুু তার সাথে কারো চুক্তি নেই সে বিভাগীয় নির্বাচন অফিসারকে ম্যানেজ করে জেলা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসারের সাথে কথা বলে এ কাজ চালাচ্ছে।বরিশাল বাটাজোর নামক স্থানে সে একজন দোকানদার বলে জানায়।এবং সে বরিশালের একজন সংবাদ কর্মীর মাধ্যম অবলম্বন করেন।
এবিষয়ে পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ও জেলা নির্বাচন অফিসার জিয়াউর রহমান খলিফার কাছে বিষয়টি জানতে গেলে তিনি এটার সচ্ছতা আছে বলে জানান। ডকুমেন্টারি হিসেবে ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখান যাতে প্রতিটি ইউনিয়নের হারানো স্মার্ট কার্ড বিতরনের ৩৪৫ টাকা ও ব্যাংক ভ্যাট ৬ টাকা উল্লেখ রয়েছে বাকি ১৪ টাকা কমিশনে কাজ করছে ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংক এজেন্টের লোক।অথচ মাঠ পর্যায়ে সরেজমিনে জানাগেছে যাদের কার্ড হারানো গিয়েছে অথবা ভুল হয়েছে কিংবা ২০১৫-২০১৭ ইং সালে ভোটার হয়েছিল এরপরে লেমেনিটিং কার্ড নেয়নি যারা সকলেই ৩৬৫ টাকা দিয়েছে কিন্তুু ব্যাংক ড্রাফ অনুযায়ী টাকা জমা হলে নির্বাচন কমিশনের ১০০০ আইডি থেকে প্রত্যেক গ্রাহকের মোবাইলে একটি ফিরতি এস,এম,এস আসবে। অথচ বেশীরভাগ জনগন অভিযোগ করেন তাদের কোন মোবাইল নাম্বার নেয়নি এস,এম,এস পাবে কোথায়।আর ব্যাংক ড্রাফের রিসিভ দিয়ে আবার তা রেখে দেয় টিম লিডার সোহেল। বিষয়টি সোহেল সম্পুর্ন অস্বীকার করে এবং এলাকার প্রভাব খাটায়।মিডিয়া জানতে পারে তারা ব্যাংক ড্রাফের টাকা লোপাট করতে তারা কোন গ্রাহকে টাকার রিসিভ কিংবা গ্রাহকের মোবাইলে কোন এস,এম,এস দেয়না দিনশেষে তাদের মনগড়া হিসাব ব্যাংক স্টেটমেন্ট জমা দেয় উপজেলা নিবাচন অফিসারকে আর এই হিসাব গড় মিল করতেই কোন ডকুমেন্ট দিচ্ছে না গ্রাহকে।এনিয়ে নির্বাচন অফিসের কোন দিধাও নেই আর কার্ড বিতরনে উপস্থিত থাকছে না নির্বাচন অফিসের কোন প্রতিনিধি।এটা কি তাদের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে নাকি তারা সেই সুযোগ নিচ্ছে? নাকি নির্বাচন অফিসকে আগেই ম্যানেজ করে তারা নিজেদের কার্যক্রম চালাচ্ছে?প্রশ্ন তাহলে নির্বাচন অফিসে নেই কেন হারানো কিংবা বিতরন ও ব্যাংক ড্রাফের আলাদা আলাদা হিসাব।কোন রেজিস্টার খাতায় হিসাব লেখা নেই বিতরনকারীদের কাছে নাকি আছে যাহা মিডিয়ার কাছে গোপন করছে কিন্তুু কেন? ৪ দিনের এই তদন্তে মাঝে যোগ হলেন গোলখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ নাসির হোসেন তার ও অভিযোগ জনগন কেন টাকার রিসিভ পাবেনা মোবাইলে কোন এসএমএস না আসলে টাকাটা সরকারি খাদে যাচ্ছে নাকি তার প্রমান কি? বিষয়টি তিনি পটুয়াখালী জেলা-প্রসাশকে জানিয়ে বরিশাল বিভাগীয় নির্বাচন অফিসার মোঃ আলাউদ্দিন এর কাছে মুঠোফোনে অবহিত করলে তিনি বিষয়টি এক প্রকার রাগ ও ক্ষোপের সহিত বলেন, কোন টাকার রিসিভ পাবেনা জনগন শুধু একটি ফিরতি এস,এম,এস থাকবে সকল গ্রাহকের মোবাইলে। অথচ বিগত দিনে যে সকল গ্রাহকের মোবাইলে এস,এম,এস,আসেনি সেই টাকা কোথায় গেলো এমন প্রশ্ন এখন অনুসন্ধানী এলাকা গলাচিপার ইউপি সদস্য মোঃ মনির হোসেন সহ জন প্রতিনিধি,জননেতা ও সকল জনগনের। সঠিক তথ্য চিত্র খুব শীগ্রই মিডিয়া তুলে ধরবে সকলের সামনে এজন্য সকল জনগন পাশে থাকা ও আইনি সহযোগীতা একান্ত বড় ভুমিকা পালন করবে এবং বেড়িয়ে আসবে বিগত দিনে স্মার্টকার্ড বিতরনের নামে কত টাকা সরকারি খাদে জমা না দিয়ে লোপাট হয়েছে তার সঠিক হিসাব এবং কে বা কাহারা এই অভিনব দুর্নীতির সাথে জরিত তাদের চেহারা ও নাম।
পরবর্তী সংখ্যা থাকছে।