মুহাম্মদ মনির হোসাইন, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ নোয়াখালীর কোম্পনীগঞ্জে সোমবার দিবাগত রাতে মুছাপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ফকির কোম্পানীর বাড়ির আসাদ উল্যাহর ঘরে রাত আনুমানিক 2.00 (দুইটার) দিকে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, ফকির কোম্পানী বাড়ির আসাদ উল্যাহ ঘর থেকে ডাকাত দল নগদ ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ৪টি মোবাইল ফোন, ১১ ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ আরও অনেক মূল্যবান জিনিসপত্র ডাকাতি করে নিয়ে যায়। ঐ বাড়ির গৃহকর্তা আসাদ উল্যাহ জানান, রাত দুইটার দিকে আমরা ঘুমে থাকাবস্তায় ঘরের সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে দরজা খুলে দেওয়ার পর ১৫-১৬ জনের একটি অস্ত্রধারী ডাকাত দল ঘরে ঢুকে পড়ে এবং মালামাল ডাকাতি ও লুটতরাজ শুর করে। এ সময় আমার ভাই শহীদ উল্যাহ রাসেদ (২৮), ও আমার বোন পারভিন আক্তার (২০) ডাকাতদের কে বাধা দেন। বাধাদিতে যাওয়ায় ডাকাতদল তাদের উভয়কে তাদের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম করে। পরে আমার ভাই রাসেদ এর শারিরীক অবস্থা আশঙ্কাজনকে দেখে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকার প্রেরন হয়। এ সময় ডাকাত দল ঘরের সদস্যদের অকথ্য মারধর করে ও ব্যাপক লুটপাট চালায় এবং পরিবারের পুরুষ সদস্যদের কে বিভিন্ন ভাবে যখন করে।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরিফুর রহমানের বলেন, ‘ডাকাতির খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তিনি দাবি করেন, এটি ডাকাতির কোন ঘটনা নয়। শক্রতার জের ধরেও এ ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা এটি খতিয়ে দেখছি।
তবে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম শাহীন, ভুক্তভোগী পরিবারের বরাত দিয়ে বলেন, এটি সম্পূর্ণ ডাকাতির ঘটনা।