৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী মোড়ে আবদুচ ছালামের ওয়েল ফুড গুঁড়িয়ে দিল সিডিএ

অভিযোগ
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯
চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী মোড়ে আবদুচ ছালামের ওয়েল ফুড গুঁড়িয়ে দিল সিডিএ

 

আব্দুল করিম, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ-চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী মোড়ের বহুল আলোচিত ওয়েল ফুডের শো-রুম। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের মালিকানাধীন এ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানটি গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
চট্টগ্রামের কোতোয়ালী মোড়ে ফিরিঙ্গীবাজার খালের ওপর গড়ে তোলা ওয়েল ফুডের শো-রুমটি বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় অভিযান চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেন সিডিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পের আওতায় সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় উচ্ছেদের নেতৃত্ব দেন সিডিএর স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল আলম চৌধুরী। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শাহ আলী, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের উপ-পরিচালক প্রকৌশলী কাজী কাদের নেওয়াজ, সহকারী প্রকৌশলী হামিদুল হক প্রমুখ।
প্রকৌশলী হামিদুল হক বলেন, ‘ফিরিঙ্গীবাজার খালের উপর গড়ে উঠা এক তলা বিশিষ্ট ওয়েল ফুডের শো-রুমটি উচ্ছেদ করা হয়েছে। প্রায় ৩৫ ফুট দৈর্ঘ্যের ও ২৫ ফিট প্রস্থের শো-রুমটি পুরোটাই খাল দখল করে তোলা হয়েছে।
হামিদুল হক জানান, অভিযানে সিইপিজেড থানার নয়ারহাট খাল থেকে আনুমানিক ৩০টি এবং দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ডের গুপ্ত খাল থেকে ৩০-৩৫ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এসব অবৈধ স্থাপনার মধ্যে দু’তলা থেকে শুরু করে পাঁচতলা ভবন পর্যন্ত ছিল।
সেনাবাহিনীর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় ফিরিঙ্গীবাজার খালের ম্যাপে দেখা যায়, কোতোয়ালী মোড়ে ক্যাফে মমতাজের পাশে ওয়েল ফুডের শোরুমটির পুরোটাই গড়ে উঠেছে খালের ওপর।
জানা গেছে, জায়গাটি নজির আহমেদ নামের এক ব্যক্তিকে ১৯৮৩ সালে লিজ দিয়েছে সিটি করপোরেশন। ওয়েল ফুড সরাসরি ওই জায়গা লিজ নেয়নি। তবে সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী যিনি বরাদ্দ পাবেন, তাকে দোকান করতে হবে। যদি অন্য কাউকে তা দেয় তাহলে সিটি করপোরেশনের তহবিলে ৫০ হাজার টাকা জমা দিয়ে নাম পরিবর্তন করে ব্যবহার করতে পারবে। তবে ওয়েল ফুড দোকান স্থাপনের সময় সেটা করেনি।
উল্লেখ্য, জলাবদ্ধতা নিরসন মেগা প্রকল্পের আওতায় বর্তমানে নগরীর ৩৬টি খালে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে সেনাবাহিনী ও সিডিএ। জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পটি মাঠ পর্যায়ে সেনাবাহিনী বাস্তবায়ন করছে বলে অভিযানও তারা সিডিএ’র সহযোগিতায় করছে। ইতোমধ্যে প্রবর্তক মোড়ে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ও জাকির হোসেন রোডে ইউএসটিসির স্থাপনা ভাঙা হয়েছে। বড়পোলসহ বিভিন্ন এলাকায় পাঁচতলা ভবন পর্যন্ত ভাঙা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031