৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বশেমুরবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য সকলের দোয়া ও সমর্থন প্রার্থী মো:সাহেদুল ইসলাম

অভিযোগ
প্রকাশিত এপ্রিল ৩০, ২০২৩
বশেমুরবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের  সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য সকলের দোয়া ও সমর্থন প্রার্থী মো:সাহেদুল ইসলাম

গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ এক যুগ পেরিয়ে গেলেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া সংগঠন ছাত্রলীগের কমিটির মুখ দেখেনি শাখা ছাত্রলীগ।বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের কার্যক্রম চলমান থাকলেও এক যুগ ধরে স্বীকৃতিহীন ভাবে রয়েছে ছাত্রলীগ। দীর্ঘ এক যুগের অবসান কাটিয়ে গত ১২/০৪/২০২৩ ইং তারিখে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক বশেমুরবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধি করার জন্য প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পদ-প্রত্যাশীদের এক সপ্তাহের মধ্যে সিভি প্রদান করার জন্য অনুরোধ করা হয়।

শিক্ষা, শান্তি, প্রগতির পতাকাবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এক জরুরী সিদ্ধান্ত মোতাবেক , মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাত কে শক্তিশালী করার লক্ষে বঙ্গবন্ধুর নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগকে গতিশীল করার জন্য বশেমুরবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য “মো: সাহেদুল ইসলাম” সিভি প্রদান করেছেন এবং সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন। তিনি ২০১৬ – ১৭ শিক্ষাবর্ষের একজন শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে সম্পৃক্ততার দিক থেকে এবং চলমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে তিনি বশেমুরবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদের যোগ্য দাবিদার।

রাজনৈতিক লক্ষ্য ও উদ্দ্যেশ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন,গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা ছিল যার জীবনের দর্শন, গ্রাম বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোঁটানো ছিল যার ব্রত। যার বজ্রকণ্ঠে প্রকম্পিত হতো বাংলার আকাশ বাতাস, যার তর্জনীর ইশারায় সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালি জেগে উঠেছিল এদেশের মুক্তি সংগ্রামে। সেই মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর যে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্ট কিছু পাকিস্তানি দোসর এই মহান মানুষটিকে নৃশংসভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে সেই স্বপ্নকে অস্তমিত করতে চেয়েছিল। তাদের প্রেতাত্মারা আজও ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে স্বাধীনতা বিরোধীদের এসব ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করতে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে আমার প্রথম লক্ষ্য হবে, ন্যায়ের পক্ষে রাজপথে সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতিহত করা, জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিজেকে উৎসর্গ করা।

বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর, জনসাধারণের হৃদয়ে আবারও আশার সঞ্চার হয় । বাংলার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে স্ফুলিঙ্গ হয়ে আসা “মাদার অব হিউম্যানিটি” দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে পাকিস্তানি দোসররা প্রতারণার রাজনীতির মাধ্যমে বারবার বাধাগ্রস্ত করেছে। বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিনত করতে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি সূচকে ৫ বার চ্যাম্পিয়ন করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে এদেশের ভাবমূর্তিকে চরম লজ্জায় নিমজ্জিত করেছে। তারপরও “দ্যা জুয়েল ক্রাউন অব বাংলাদেশ” মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দুর্বার ও সাহসী নেতৃত্বে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে অর্থনীতি, রাজনীতি, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, নারী ক্ষমতায়ন সহ প্রতিটি আন্তর্জাতিক সূচকে ইতিবাচক সাফল্য সমগ্র বিশ্ববাসীকে তাঁক লাগিয়ে দিয়েছে। সাফল্য গাঁথা শেখ হাসিনা আমলের উন্নয়নকে অবিরাম বহুমান করতে আমার দ্বিতীয় লক্ষ্য থাকবে, প্রাণপ্রিয় নেত্রীর বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড হিসেবে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে নিজেকে উৎসর্গ করা।

২০০৯ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নকে যারা চোখের কাঁটা হিসাবে দেখেছিল, তারাও আজ ডিজিটাল বাংলাদেশের চিত্রে ঈর্ষান্বিত। বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে “ডিজিটাল বিপ্লবের” মাধ্যমে গ্রামবাংলার মানুষও আজ তথ্য ও প্রযুক্তির কল্যাণে “গ্লোবাল ভিলেজে” বসবাস করছেন । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ ডিসেম্বর ২০২২ সালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কেন্দ্রের (বিআইসিসি) অনুষ্ঠানে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস – ২০২২ উদ্‌যাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে সর্বপ্রথম ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার কথা বলেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আগামী ৪১’ সালে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলব এবং বাংলাদেশ হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ।’ আমি বিশ্বাস করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশ “চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে” নেতৃত্ব দিবে এবং সবুজ অর্থনীতির মাধ্যমে ভিশন ২০৪১ এর লক্ষ্য অনুযায়ী একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য হবে আমার আগামীর পরিকল্পনা।

দেশরত্ন শেখ হাসিনার ১৩ বছরের নেতৃত্বে আমরা যখন উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছি, এই সময় একাত্তরের পরাজিত শক্তি নেত্রীর অর্জনকে ম্লান করতে ২০২৩ সালের নির্বাচনকে লক্ষ্য করে ষড়যন্ত্রের ছক আঁকছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে আমার তৃতীয় লক্ষ্য থাকবে, ষড়যন্ত্রের বীজগুলোর মূলোৎপাটন করতে রাজপথে শক্ত অবস্থান নেওয়া । একই সাথে, দেশরত্ন শেখ হাসিনার ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ভিশন ২০২১, উন্নত রাষ্ট্র গড়ার ভিশন ২০৪১ এবং স্বপ্নের ‘ডেল্টা প্লান’ বাস্তবায়নে নিজের মেধা, মননশীলতা ও প্রগতির দীক্ষা নিয়ে শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতির মশাল জ্বালিয়ে একটি স্বপ্নীল, নান্দনিক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ গড়ার প্রত্যয়ের মাঝে নিজেকে সামিল করা ।

তিনি আরো বলেন, আমি আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান। আমার পিতার ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের সাথে গভীর সম্পৃক্ততা রয়েছে, আমার বোন শারমিন সুলতানা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রোকেয়া হল ছাত্রলীগের একজন প্রভাবশালী সংগঠক ছিলেন, আমার ভাই রিয়াজ উদ্দিন সোহেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সলিমুল্লাহ হল ছাত্রলীগের নাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে আমি ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দায়িত্বে আছি। আমি শিক্ষা জীবনের শুরু থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত, আমি বশেমুরবিপ্রবি শাখা কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সিভি জমা দিয়েছি।

যদি আমি বশেমুরবিপ্রবি ছাত্রলীগের শাখা কমিটির দায়িত্ব পাই তাহলে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে তাদের অধিকার আদায়ে কাজ করে যাবো।আমি সকলের সমর্থন ও দোয়া প্রত্যাশী।

Please Share This Post in Your Social Media
April 2024
T W T F S S M
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30