মোঃ ফিরোজ কবির সুন্দরগঞ্জ উপজেলার প্রতিনিধিঃ সুন্দরগঞ্জ এক কলেজছাত্রী (২০) কে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ কথিত প্রেমিক সোহাইবুর রহমান সামু (২৫) বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করে। এ মামলা অর্ধমাস অতিবাহিত হলেও আজও গ্রেফতার হয়নি সামুসহ সহযোগী আসামি। এ নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ভুক্তভোগি পরিবারটি।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের পুর্ব বেলকা গ্রামের ওই ছাত্রী ও তার পরিবার এ ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় ও মামলা সুত্রে জানা যায়, পুর্ব বেলকা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে সোহাইবুর রহমান সামুর সঙ্গে ওই ছাত্রীর প্রায় ৪ বছর ধরে প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্ক চলে আসছিল। এরই মধ্যে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সামু বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
ধারাবাহিকভাবে গত ১১ নভেম্বর সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ছাত্রীটি বেলকা বাজারের দিকে প্রয়োজনীয় খরচ করতে রওনা হয়। পথিমধ্যে বেলকা ডিগ্রী কলেজের সামনে পৌঁছালে ওঁৎপেতে থাকা প্রেমিক সামু তাকে বিয়ে করার কথা বলে বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর তাকে ইচ্ছের বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। এভাবে ১০ দিন আটকে রাখা হয় ওই ছাত্রীকে। পরবর্তীতে থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রীকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ধর্ষক সামু ও তার সহযোগী আরও এক গৃহবধূসহ দুইজনকে আসামি করে গত ১ ডিসেম্বর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে ভুক্তভোগী ছাত্রী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, বিয়ের প্রলোভন দিয়ে সামু আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। আমার সবকিছু সর্বনাশ হয়েছে। আমি অতিদ্রুত আসামিদের গ্রেফতারসহ উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে আসামি সামু ও তার বাবা রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের টেষ্টা করা হলে তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সুন্দরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সেরাজুল হক জানান, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। আসামি পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে গ্রেফতার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।