৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বিদায়ে যা বললেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম

অভিযোগ
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১২, ২০২২
বিদায়ে যা বললেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম

 

নাসরিন আক্তার রুপা ঢাকা: মানুষের কথা চিন্তা করে দেশের কল্যাণের জন্য কাজ করার চেষ্টা করে গেছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

তিনি বিদায় বেলায় দেশবাসীর কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন।

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানানোর সময় তিনি এ কথা বলেন।

চুক্তির মেয়াদ শেষে আগামী ১৫ ডিসেম্বর অবসরে যাচ্ছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তার জায়গায় নিয়োগ পেয়েছেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার। মন্ত্রিসভার ব্রিফিং সাধারণত মন্ত্রিপরিষদ সচিবই করে থাকেন, আজ তার শেষ ব্রিফিং।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে বিদায়ী মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কৃতজ্ঞতা জানাই, আজ অফিসিয়ালি আপনাদের (সাংবাদিক) সঙ্গে শেষ (ব্রিফিং)। মন্ত্রিসভা ধন্যবাদ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা মানুষের কথা চিন্তা করে, দেশের কল্যাণে কাজ করার চেষ্টা করেছি। কাজ করতে গিয়ে ভুল ত্রুটি হয়েছে, দেশবাসীর কাছে অনুরোধ জানাই ক্ষমা করে দেওয়ার।

ভবিষ্যত পরিকল্পা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভবিষ্যত পরিকল্পনা-আই হ্যাব রিটায়ার্ড। এখন আল্লাহর রহমদে দেখা যাক কী করা যায়।

সরকার যদি কোনো প্রকল্প বা কোনো খাতে যদি আপনাকে অফার করে? এ বিষয়ে তিনি বলেন, এগুলো নিয়ে কোনো আলোচনা হয় না।

সরকারের সাথে থেকে আপনার কাজ করার ইচ্ছা আছে কিনা? অনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমি তো করেছি সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে। আমি ভেরি লাকি, আমি সম্ভবত ৪০ বছর। আমি সেক্রেটারিও ১২ বছর থেকে, ২০১১ থেকে।

‘ধন্যবাদ আপনাদের কথাও মনে থাকবে। আপনাদের সবার প্রতি আমার দোয়া রইলো।’

কাজের বিষয়ে তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজের মধ্যে আমার সম্পৃক্ততা ছিল। যেমন- ডিজিটাল বাংলাদেশ, গুড গর্ভনেস, রাইট টু ইনফরমেশন, এনআইএস।

‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ যে কয়জনের হাতে হয়েছে তার মধ্যে আমি ছিলাম। উনি আমাদের দুটি থিম দিয়ে দিয়েছেন, সার্ভিস অ্যাট দ্য ডোর স্টেপস ফর দ্য পিপল এবং সার্ভিস অ্যাট দ্য ফিঙ্গার ফর দ্য পিপল। উনি বললেন তোমরা বাস্তবায়ন করবে, যা লাগবে টাকা পয়সা দিয়ে দেব। আমরা এক দিনেই ৪ হাজার ৫শ ইউনিয়েনে ২০১০ সালে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার করা শুরু করেছিলাম। আমার ওপর দায়িত্ব ছিল চর কুকরিমুকরিতে। সেখানে আমার হাত দিয়ে হ্যান্ড্রেল হয়েছে। আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশের যে সুফল তার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলাম।’

প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন যে মেগা প্রজেক্টগুলো বাস্তবায়ন হয়েছে। পদ্মাটা ভালেঅভাবে করার ফলেঅ অন্যান্য মেগা প্রজেক্টগুলো সফল হয়েছে। আমরা সেটায় সম্পৃক্ত ছিলাম। কিন্তু কোভিডটা আমাদের পিছিয়ে দিয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031