৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

আলিনা ইসলাম আয়াতকে ৬ টুকরা করে হত্যা কারি আবির ফের রিমান্ডে।

অভিযোগ
প্রকাশিত নভেম্বর ২৮, ২০২২
আলিনা ইসলাম আয়াতকে ৬ টুকরা করে হত্যা কারি আবির ফের রিমান্ডে।

 

পলাশ কান্তি নাথঃ চট্টগ্রামে আলিনা ইসলাম আয়াত নামের পাঁচ বছরের এক শিশুকে হত্যা এরপর লাশ ছয় টুকরো করার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেফতার আবির মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত ২৮ নভেম্বর সোমবার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবদুল হালিম এ আদেশ দেন।

আবির আলী (১৯) নগরের ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের নয়ারহাট এলাকার ভাড়াটিয়া বাসিন্দা আজহারুল ইসলামের ছেলে। তাদের বাড়ি রংপুর জেলায়। শিশু আয়াতকে খুনের মামলায় তার সম্পৃক্ততার তথ্যপ্রমাণ পাওয়ার পর গত ২৪ নভেম্বর রাতে তাকে গ্রেফতার করে পিবিআই।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, শিশু আয়াতকে অপহরণ করে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা ছিল আবিরের। কিন্তু তার মুঠোফোনের সিম কাজ না করায় শিশুটির পরিবারকে ফোন দিতে পারেননি। নিজে ধরা পড়ে যাবেন এ ভয়ে শিশুটিকে কেটে ছয় টুকরো করে সাগরে ভাসিয়ে দেন। ভারতীয় টিভি সিরিজ ক্রাইম পেট্রোল ও সিআইডি দেখে আবির এ কাজ করার কথা স্বীকার করেন।আবিরকে আদালতে নেওয়ার সময় আবিরের বাবা ভ্যানচালক আজহারুল ইসলাম শিশু আয়াতের বাসায় ভাড়া থাকেন। তার মা আলো বেগম পোশাক কারখানার শ্রমিক। স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ায় আলো বেগম ইপিজেড এলাকার আকমল আলী রোড এলাকায় অন্য বাসায় থাকেন। মা ও বাবার দুটি বাসাতে যাতায়াত ছিল আবিরের।

শিশু আয়াতকে অপহরণ করে তার পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা আবির দুই মাস আগে করেন। আর মুক্তিপণের টাকা দিয়ে নিজের ও মায়ের জন্য কিছু করার ইচ্ছা ছিল বেকার আবিরের।

এ ঘটনায় আয়াতের বাবা বাদী হয়ে নগরের ইপিজেড থানায় মামলা দায়ের করেন। রোববার শিশু আলীনা ইসলাম আয়াতকে অপহরণের পর হত্যায় অভিযুক্ত রিমান্ডে থাকা আবির আলীকে সঙ্গে নিয়ে ফের মরদেহের খণ্ডিত অংশগুলোর সন্ধানে তল্লাশি চালায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো।

পেশায় মুদি দোকানদার আয়াতের বাবা সোহেল বলেন, জানাজা পড়ার জন্য মেয়ের মরদেহটাও পাইনি। মেয়ের হত্যাকারীর ফাঁসি চাই।’

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031