শেখ তিতুমীর ঢাকা : বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় ফাঁস হওয়া প্রশ্নে চাকরি পাওয়াদেরও আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ।
শনিবার (২২ অক্টোবর) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। এদিন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত চক্রের গ্রেফতার পাঁচজনকে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করে ডিবি পুলিশ। তাদেরকে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন-বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এমটি অপারেটর মো. জাহাঙ্গীর আলম (৩৬), এমটি অপারেটর মোহাম্মদ মাহফুজ আলম ভূঁইয়া (৩১), এমটি অপারেটর মো. এনামুল হক (২৭), অফিস সহায়ক আওলাদ হোসেন (২৯) এবং অফিস সহায়ক হারুনুর রশিদ (৪০)।
হারুন অর রশীদ জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা এর আগেও বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস করেছে। তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এ ঘটনায় বিমানের ঊর্ধ্বতন কেউ জড়িত কি না সেটিও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।
এসময় অভিভাবকসহ সবাইকে এই অপকর্ম বন্ধে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান ডিবি প্রধান।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেল ৩টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ১০০ চালকসহ বেশ কয়েকটি পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। তবে এ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। পরে পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগে তা স্থগিত করা হয়।
পদগুলো হলো— জুনিয়র টেইলর কাম আপহোলস্টার, প্রি-প্রেস অ্যাসিস্ট্যান্ট, জুনিয়র এমটি মেকানিক, জুনিয়র এয়ারকন মেকানিক, জুনিয়র ওয়েল্ডার জিএসই, জুনিয়র পেইন্টার জিএসই, জুনিয়র মেকানিক (টায়ার) জিএসই, জুনিয়র মেকানিক জিএই (ক্যাজুয়াল), জুনিয়র ইলেকট্রিশিয়ান জিএসই (ক্যাজুয়াল) ও জুনিয়র অপারেটর জিএসই (ক্যাজুয়াল)।
এসব পদের লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি পরবর্তীতে প্রার্থীদের মোবাইল ফোনে ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেয়া হবে।