৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

চেয়ারম্যান পদে টিটুর মনোনয়ন গ্রহন করে প্রতীক বরাদ্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ।

অভিযোগ
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২
চেয়ারম্যান পদে টিটুর মনোনয়ন গ্রহন করে প্রতীক বরাদ্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ।

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নোয়াখালী থেকে প্রার্থী আলাবক্স তাহের টিটুর বাতিল হওয়া মনোনয়ন বৈধ করে তাকে প্রতীক বরাদ্দ দিতে নির্বাচন কমিশনকে আদেশ দিয়েছেন মহামান্য হাইকোর্ট। সেই সাথে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আপিলেট অথরীটির দেয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আদালত।

বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশনের দ্বৈত বেঞ্চ আজ ২৫ সেপ্টেম্বর এ আদেশ দেন।

উল্লেখ্য গত ১৮/৯/২২ এবং ২২/৯/২২ তারিখে ঋণ খেলাপি উল্লেখ পুর্বক জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আলাবক্স টিটুর প্রার্থীতার মনোনয়ন পত্রটি বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আপিলেট অথরীটি।

এ বিষয়ে টিটু আদালতে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রীট পিটিশন করেন। উক্ত রীটে নির্বাচন কমিশনসহ ৫ জনকে রেসপনডেন্ট করা হয়।

আজ ২৫ সেপ্টেম্বর রীট পিটিশনের প্রাথমিক শুনানী শেষে টিটুর মনোনয়ন বাতিল করা রেসপনডেন্টদের দেয়া বাতিল আদেশ কেনো বে- আইনি এবং অবৈধ ঘোষনা হবেনা সে মর্মে রুল নিশি জারি করেন মহামান্য হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চের বিচারক গন। সেই সাথে রির্টানিং অফিসারকে রীট পিটিশনকরী টিটুর মনোনয়ন গ্রহন করে প্রতীক বরাদ্দের নির্দেশ দেন বলে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীর সাক্ষরিত বার্তায় জানা যায়। যা টিটু তার পেইজবুক আইডিতে প্রকাশ করেছেন।

টিটু ছাত্র জীবন থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারন করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জেলার ত্রান বিষযক সম্পাদক, সেন্ট্রাল ছাত্রলীগের সদস্যসহ জেরা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।

 

টিটু ৯০ দশকের সৈরাচার এরশাদ পতন আন্দোলন সহ জুলুমবাজ বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলন করে সদর পুর্বাঞ্চলে প্রতিবাদের ঝড় তুলে রাজপথ কাপিয়েছেন। তার রাজনৈতিক জীবনের পুরো ইতিহাস সংগ্রামী জীবনে ভরা। দলের দুঃসময়ে জেল জুলুম অত্যাচার সহ্য করেও এক মুহুর্তের জন্য ও দলীয় কর্মকান্ড মিছিল, মিটিং থেকে সরে আসেননি। তিনি হলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অগ্নিযোদ্ধা।বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার লড়াকু অকুতোভয় এক বিপ্লবী সৈনিক।

একসময় যার হাতে সদর পুর্বাঞ্চলের আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মূল দায়িত্ব ছিলো। তখন হাতে গোনা ৪/৫ জন ছিলো বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। তারা আজ অনেকেই দেশ বিদেশে বিভিন্ন স্থানে পারিবারিক কারনে চলে গেলও টিটু এলাকা ছেড়ে প্রানের স্পন্দন আওয়ামী লীগ ছেড়ে কোথাও যাননি। তার জীবনের ৩০ টি বছর কেটে গেছে দলের পেছনে যা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানেন।

কঠিন সময়ে সদর পুর্বাঞ্চলে যখন নেতৃত্বশুন্য তখন একমাত্র টিটুই দলের ভীত তৈরি করে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামীলীগের ত্বীরত্নে পরিনত হয়। তিনি বিগত ২০০৬ সালে কবিরহাট পৌরসভার সুস্থ ও শৃংখল ভাবে জনগনের ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়ে সততার সাথে এলাকার উন্নয়ন ঘটাতে সচেষ্ট হন। পরবর্তিতে দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান রেখে তিনি আর নির্বাচন করেননি। গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি সদস্য পদ লাভ করেন। এর আগে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে রাজনৈতিক প্রতি হিংসার বলি হয়ে হেরে যান।তারপর দলের প্রতি নেই কোন রাগ,ক্ষোভ। কারন তিনি দলকে ভালোবাসেন। তাই শেখ হাসিনার সম্মান হানি করে তিনি কোন প্রতিকার কিংবা প্রতিরোধ সৃষ্টি করেননি। বরং ধর্য্যের সাথে তা মোকাবেলা করেছেন।

বর্তমানে তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রার্থী হয়েছেন এখানেও তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেমে নেই। কিন্তু তিনি আপোষহীন সোচ্চার। তাই হাইকোর্ট ডিভিশনে প্রার্থীতা বাতিলের বিরুদ্ধে রিট আবেদন করে পুনরায় তার নির্বাচন করার অধিকারটি তিনি আদায় করে নিয়েছেন।

আলাবক্স টিটু আগামী ১৭ অক্টোবর গনতান্ত্রীক প্রক্রিয়া একটি উৎসব মুখোর পরিবেশে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদানে সকল ভোটারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031