২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

রমনা বটমূলে হামলা মামলা: আবারও কার্যতালিকায় উঠল ডেথ রেফারেন্স

অভিযোগ
প্রকাশিত নভেম্বর ২, ২০২১
রমনা বটমূলে হামলা মামলা: আবারও কার্যতালিকায় উঠল ডেথ রেফারেন্স
রমনা বটমূলে হামলা মামলা: আবারও কার্যতালিকায় উঠল ডেথ রেফারেন্স
প্রধান প্রতিবেদক শেখ তিতুমীর  :– ২০ বছর আগে ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখে রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা মামলা (ডেথ রেফারেন্স, আপিল ও জেল আপিল) দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আবারও হাইকোর্টের কার্যতালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

দীর্ঘদিন ঝুলে থাকার পর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ওয়েবসাইটে আজ মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) আপিল আবেদনটি হাইকোর্টের বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানির তালিকায় দেখা যায়। শুনানির জন্য আজ বিকেল ৪টা থেকে ৪টা ১৫ মিনিট সময় নির্ধারিত রয়েছে।

মামলাটি এর আগেও একাধিকবার কার্যতালিকায় ছিল। সর্বশেষ ২৪ জুন এবং তার আগে ১৪ মার্চ কজলিস্টে এসেছিল। তবে শুনানি হয়নি। আজ আবার তালিকায় উঠল।

মামলাটির ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসার পর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেপারবুক তৈরি করা হয়েছিল। শুনানিও শুরু হয়। কিন্তু কয়েক দফা আদালত পরিবর্তন হওয়ায় গত সাত বছরেও শেষ হয়নি আপিল আবেদনটি।

২০১৭ সালের ৮ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শুরু হয়। এরপর ওই বছরের ১৪ মার্চ চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিনও ধার্য হয়। কিন্তু তারপর আর এগোয়নি।

পরে আদালত মামলাটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন। এরপর সেটি হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে যায়। সেখানে দীর্ঘদিন থাকার পরও মামলাটি শুনানির জন্য ওঠেনি। পরে ওই আদালতের বিচারক রদবদল হওয়ায় মামলাটি আর শুনানিও হয়নি।

এক সময় মামলাটির আপিল শুনানি যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের পর্যায়ে গেলেও আদালতের এখতিয়ার পরিবর্তন হওয়ায় মামলাটি শেষ পর্যন্ত শুনানি সম্পন্ন হয়নি। এরপর কয়েক দফা আদালত পরিবর্তন হয়ে মামলাটির আপিল শুনানি ঝুলে ছিল। এখন আবার তালিকায় উঠল।

২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালানো হয়। হামলায় ঘটনাস্থলেই নয়জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান একজন। এ ঘটনায় নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ ওই দিনই রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা করেন।

২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর দুই মামলায় ১৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২০১৪ সালের ২৩ জুন হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারিক আদালত। এরপর ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের জেল আপিল ও ফৌজদারি আপিলের শুনানির জন্য মামলাটি হাইকোর্টে আসে। হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হলেও বিস্ফোরক মামলাটি ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031