২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

মানবতার মহানায়ক হাসমত আলী নেতা

অভিযোগ
প্রকাশিত জুলাই ২০, ২০২১
মানবতার মহানায়ক হাসমত আলী নেতা

মানবতার মহানায়ক হাসমত আলী নেতা

মো. মমিন হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদব :

মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত, জননন্দিত ব্যক্তিত্ব-সফল চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হাসমত আলী নেতা ১৯৫৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী উপজেলার বাংড়া ইউনিয়ন অন্তর্গত রাজাবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি ‘হাসমত নেতা হিসেবে সুধী মহলে পরিচিত। পিতা আব্দুল আলী ছিলেন বিশিষ্ট জোতদার। মাতা বাছিরন ছিলেন আদর্শ গৃহিণী।

 

হাসমত আলী নেতা চার ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে পঞ্চম। বড় ভাই আব্দুস সালাম বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, ছোট ভাই জয়নাল আবেদীন টাঙ্গাইল জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন, এলেঙ্গা শাখার সভাপতি ও ইসমাইল হোসেন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এবং বোনেরা গৃহিণী।

এলেঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা শুরু করেন। ১৯৭২ সালে এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় হতে এস.এস.সি পাশ করেন। এরপর এলেঙ্গা শামসুল হক কলেজে ইন্টারমিডিয়েটে ভর্তি হন।

ছাত্রজীবন থেকেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ তার পথচলার অন্যতম হাতিয়ার। মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে তার। ৬৯ এর গণ আন্দোলনের সাথে সক্রিয় ছিলেন। ‘৭০ এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে জনমত সৃষ্টি করেন। মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে কাদেরীয়া বাহিনীর কমান্ডার হাবিবুল হক খান বেনুর নেতৃত্বে টাঙ্গাইলে বিভিন্ন রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেন।

৭৫ এর বঙ্গবন্ধুর হত্যার সরাসরি প্রতিবাদ করেন। পরবর্তীতে আওয়ামী রাজনীতির সাথে সক্রিয় হন। ১৯৯৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ অওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম এর হাত ধরে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগে যোগদান করেন। উক্ত সংগঠনের কালিহাতী উপজেলার শাখার সভাপতি এবং পরবর্তীতে টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিশেষ কারণবশত উক্ত সংগঠন থেকে পদত্যাগ করেন।

বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযুদ্ধ লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও টাঙ্গাইল জেলা শাখার সম্মানিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মাওলানা ভাসানীর প্রতি অগাধ ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা অব্যাহত রয়েছে তার। ভাসানীর প্রতি অকৃত্রিম সম্মান ও ভালোবাসার স্বীকৃতিস্বরূপ নিজস্ব অর্থায়নে ১৯৯১ সালে কালিহাতীর শোলাকুড়া এলাকায় মওলানা ভাসানী উচ্চ বিদ্যালয় এবং ১৯৯৮ সালে আইসড়াবাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করেন।

 

তিনি ভালোবাসেন মাতা, মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে। এলাকার জনগণকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসেন। তারই ফলশ্রুতিতে বাংড়া ইউনিয়নের প্রত্যক্ষ ভোটে ১৯৯৮ এবং ২০১৮ সালের ২৯ মার্চ বিপুল ভোটের ব্যবধানে বাংড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এলাকার মানুষের সাথে ওতোপ্রতো ভাবে মিশে আছেন। যেকোন উন্নয়নমূখী কাজে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে।

 

পারিবারিক জীবনে তিনি ১৯৭৬ সালে নভেম্বর মাসের শুরুতে রিজিয়া বেগমের সাথে শুভ পরিণয়ে আবদ্ধ হন। তিন পুত্র সন্তানের জনক তিনি। যথাক্রমে- আতিকুর রহমান সাদেক, রেজাউল করিম বিপ্লব ও আশিকুর রহমান রাসেল। বর্তমানে তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে রাজাবাড়ি নিজ বাড়িতে বসবাস করছেন। তিনি বলেন সকলের দোয়া এবং ভালোবাসা আমার পথচলার হাতিয়ার।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031