৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

গরুর নাম হলো নয়া দামান: দিনে ২০ কেজি খাবার লাগে

অভিযোগ
প্রকাশিত জুন ৩০, ২০২১
গরুর নাম হলো নয়া দামান: দিনে ২০ কেজি খাবার লাগে

গরুর নাম হলো নয়া দামান: দিনে ২০ কেজি খাবার লাগে

মো: আ. রহমান শিপন, রংপুর বিভাগীয় ব‍্যুরো প্রধান:

লম্বায় ৯ ফুট এবং উচ্চতায় ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি। ওজন এক হাজার কেজি৷ দিনে গোসল করে ৪/৫ বার। তিন বেলায় ২০ কেজি খাবার লাগে তার। ‘নয়া দামান’ কোনো ব্যক্তি নয়। বলছি গাইবান্ধার আলহাজ্ব আবুল কাসেম মাস্টারের পালিত ফ্রিজিয়ান জাতের গরু “নয়া দামান” এর কথা। ‘নয়া দামানকে’কে দেখতে প্রতিদিন বাড়িতে ভীড় করেন রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, বগুড়াসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলার মানুষ।
গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় কিশামত সর্বানন্দ গ্রামের আলহাজ্ব আবুল কাসেম মাস্টারের পালিত গরু “নয়া দামান । এবছরে উত্তরাঞ্চলে সর্ববৃহৎ কোরবানির পশু বলেই ধরা হচ্ছে এই গরুটিকে। তাইতো আদর করে গরুটিকে ‘নয়া দামান’ নাম দিয়েছেন খামারী। বেশ জামাই আদরেই রাখা হয়েছে ৪ বছর বয়সী ‘ নয়া দামান’কে।
এই গরুর জন্য প্রতিদিনের বাজেট প্রায় ২ হাজার টাকার খাবার। খাবারের মেন্যুতে থাকে- কলা, মাল্টা, কমলালেবু, চিড়া, বেলের শরবত সহ আরও অন্যান্য দামী খাবার দাবার। শুধু আদর যত্নেই নয়, “নয়া দামান” এর স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য রাখা হয়েছে সার্বক্ষণিক চিকিৎসক। নিরাপত্তার স্বার্থে রাতে নৈশ্য প্রহরী টহল দেয় বাড়ির চারপাশের রাস্তায়।
নয়া দামানের মালিক তার দাম হাঁকাচ্ছেন ১৫ লক্ষ টাকা। ‘গরুটির আকার, আকৃতি ও ওজনের দিক থেকে উত্তরাঞ্চলের সবচাইতে বড় বলে দাবী সংশ্লিষ্টদের।
এ দিকে আসন্ন কুরবানি ঈদের জন্য নয়া দামানকে প্রস্তুত করা হলেও করোনার জন্য এর ন্যায্য মূল্য নিয়ে চিন্তিত খামারী আবুল কাসেম মাস্টার।
সর্বানন্দ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জানান, জীবনেও কখনো এমন বড় আকৃতির গরু দেখেন নি তিনি। গরুটিকে তার বেশ পছন্দ হয়েছে বলে জানান তিনি।

উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় গরু “নয়া দামান” এর মালিক খামারী আবুল কাসেম মাস্টার’র সাথে আলাপ কালে জানা যায়,দীর্ঘ দিন লালন-পালন করে মায়ায় পরার জন্য গরুটিকে আদর করে “নয়া দামান” নাম রাখা হয়। বৈদ্যুতিক পাখা ছাড়া থাকতে পারে না এই গরুটি। বিদ্যুৎ চলে গেলে পাখা দিয়ে বাতাস করতে হয় গরুটিকে। তার মুঠোফোন ০১৭৪০৮৫৩৬০৫ নম্বরে যোগাযোগ করে কেউ “নয়া দামান”কে কিনে নিলে নিজস্ব পরিবহনে ক্রেতার বাসায় গরুটিকে পৌঁছে দিবেন খামারী আবুল কাসেম মাস্টার।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা দাবি করে বলছেন তাদের দিক নির্দেশনায় গরুটিকে লালন-পালন করায় গরুটি আজ উপজেলার সর্ববৃহৎ গরু। অনলাইনে গরুটিকে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করে দেয়ার আশ্বাস দেন মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য যে, খামারী আলহাজ্ব আবুল কাসেম মাস্টার নিজে কুরবানি করার জন্য “লক্ষী সোনা” নামের আর
একটি গরুকে তার খামারে লালন-পালন করছেন।

Please Share This Post in Your Social Media
April 2024
T W T F S S M
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30