২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

প্রতি লিটার সয়াবিনের দাম কমলো ১০ টাকা

অভিযোগ
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪
প্রতি লিটার সয়াবিনের দাম কমলো ১০ টাকা

প্রতি লিটার সয়াবিনের দাম কমানো হয়েছে ১০ টাকা। আগামী ১ মার্চ থেকে এই মূল্য কার্যকর হবে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিনের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬৩ টাকা। আর খোলা সয়াবিনের দাম থাকবে ১৪৯ টাকা।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত ট্রাক স্পোর্টস কমিটির বৈঠক শেষে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

বৈঠকে নিত্যপণ্য উৎপাদন ও বিপণনকারী সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, বসুন্ধরা, টিকে এস আলম গ্রুপের মনোনীত প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।

এ সময় বাণিজ্য সচিব তখন কান্তি ঘোষ ছাড়াও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে আহসানুল ইসলাম টিটু জানান, ডলারের দাম, পরিবহন খরচ এবং আনুষঙ্গিক খরচে ব্যয়বৃদ্ধি অপরিবর্তিত থাকলেও ভোজ্যতেলের শুল্ক কমানোর প্রভাব এবং সরকারের অনুরোধে রমজান উপলক্ষে প্রতি লিটার সয়াবিনের দাম ১০ টাকা করে কমাতে রাজি হয়েছে উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এর ফলে প্রতি লিটার সয়াবিন বর্তমান দাম ১৭৩ টাকা হলেও সেটি আগামী ১ মার্চ থেকে বিক্রি হবে ১৬৩ টাকায়। একইভাবে খোলা সয়াবিনের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪৯ টাকা। তবে এই দাম কতদিন ভালো থাকবে সেটি নির্ভর করবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনার ফলাফলের ওপর। সাধারণত প্রতিমাসে এর দাম নির্ধারণের রেওয়াজ আছে।

পাম তেলের মূল্য কেন নির্ধারণ করা হলো না জানতে চাইলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে বিশ্ববাজারে পাম তেলের দাম বেশি। সয়াবিনের চাইতে ও পাম তেলের দাম দেশে বেশি। এই অবস্থায় পাম তেলের দাম নির্ধারণ করে দেওয়াটা যুক্তিযুক্ত হবে না। তাই সরকার এর মূল্য নির্ধারণ করেনি।

চিনির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হলো কিনা জানতে চাইলে টিটু বলেন, আজকের বৈঠকে শুধু ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। কিছু কৃষিপণ্যের মূল্য পর্যালোচনা করা হয়েছে। চিনির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তাছাড়া চিনির আন্তর্জাতিক বাজারদর এখনো বেশি। আমরা ভারত থেকে কোটা ভিত্তিতে চিনি আনার চেষ্টা করছি। তবে এখনো অফিসিয়াল চিঠি এখনো পাইনি। চিঠি পেলে কী পরিমাণ চিনি সরকার আমদানি করবে তা জানা যাবে। আর সরকার চিনি আমদানি করলে এবং টিসিবির মাধ্যমে বিক্রি অব্যাহতয় রাখলে ব্যবসায়ীরাও দাম কমাতে বাধ্য বলে দাবি করেন তিনি।

পেঁয়াজের বাড়তি দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন দাম একটু বেশি হলেও এর সুফল পাওয়া যাবে আগামী বছর। কৃষক বেশি দাম পাওয়ার কারণে আগামীতে দেখা যাবে এর দ্বিগুণ পালন হয়েছে। ফলের দামও নিয়ন্ত্রণে আসবে ‌।

Please Share This Post in Your Social Media
April 2024
T W T F S S M
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30