মুহাম্মদ কাইসার হামিদ, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ও স্থানীয় লক্ষ্মীপুর দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোঃ শামছুল হক হারিছ মাষ্টারের স্বরণে শোক সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২আগষ্ট) বিকেলে উপজেলার পশ্চিম গোবরিয়া গ্রামে মরহুমের বাড়ীর সামনে গোবরিয়া আব্দুল্লাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত শোক সভা ও দোয়া মাহফিলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ এনামুল হক আবু বক্করের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি আলহাজ্ব নাজমুল হাসান পাপন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র ইমতিয়াজ বিন মুছা জিসান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইয়াছির মিয়া, গোবরিয়া আব্দুল্লাপুর ইউ পি চেয়ারম্যান মোঃ আব্বাস উদ্দিন।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কটিয়াদি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাকুর রহমান, কুলিয়ারচর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আলহাজ্ব মোঃ জিল্লুর রহমান, মেজর মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম (অব.), বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহাব মাষ্টার, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ও ডাকসু সদস্য মোঃ নজরুল ইসলাম, মরহুম হারিছ মাস্টারের ছেলে শাতিল আহমেদ, ইউপি সদস্য মোঃ আলম মিয়া, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোঃ শরীফ হোসেন ও সেলিম হায়দার, যুবলীগ নেতা মোঃ মোবারক হোসেন ও গোবরিয়া আব্দুল্লাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ কামাল হোসেন প্রমূখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, গোবরিয়া আব্দুল্লাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাজিরুল ইসলাম ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোঃ আবুল ফজল জাহাঙ্গীর।
অনুষ্ঠানে মরহুম শামছুল হক হারিছ মাস্টারের বিদেহী আত্মার মগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এর আগে অতিথিবৃন্দ মরহুমের কবর জিয়ারত করেন।
জানা যায়, শামসুল হক হারিছ ১৯৫৩ সালের ৪ অক্টোবর কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার পশ্চিম গোবরিয়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মরহুম মোঃ মকবুল হোসেন।
তিনি গত ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা মহাখালী সংক্রামকব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।
পরদিন ১৯জুলাই শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মরহুমের নামাজে জানাযা শেষে গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
১৯৬৮ থেকে ২০১৯ খ্রী: পর্যন্ত সুদীর্ঘ অর্ধশত বছর মরহুম হারিছ মাষ্টারের সাথে পথ চলার সাথী উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য
মোঃ সালহ্ উদ্দিন বলেন, ওই বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক হারিছ মাষ্টার স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে ছাত্রলীগ থেকে তার সাথে ছাত্র ইউনিয়নে যোগদান করেন। পরবর্তীতে মোজাফফর ন্যাপের রাজনীতি, তার পরে একসাথে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির রাজনীতিতে যোগ দেন। কমিউনিস্ট পার্টি যখন প্রায় বিলুপ্তির পথে তখন ১৯৯০ সাল থেকে দু’জন এক সাথে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়। অনেক মান অভিমান হতো তাদের মাঝে কিন্তু জীবনে কখনো আলাদা হননি তারা। তিনি আরো বলেন আজতো তাঁর সাথে চির বিচ্ছেদ। আরতো কোন দিন একসাথে জয়বাংলা শ্লোগান তুলতে পারবোনা। সে তো আমাকে একলা করে গেলো চলে গেলো। তবু দোয়া করি ওপারে যেন ভালো থাকে সে।