ওবায়েদ শাকিল,ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।
বরিশাল নগরীর ৫টি ওয়ার্ডের তরুণ-তরুণীদের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা, বাল্যাবিবাহ প্রতিরোধ, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান, জলবায়ু কার্যক্রম এবং নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ বিষয়ে গত এক বছর যাবৎ কাজ করে জাগরণ সৃষ্টি করার মাধ্যমে আলোর মুখ দেখিয়েছে আলোকিত যুব সমাজ প্রকল্প। একশনএইড বাংলাদেশের ফায়ারস্টার্টার ইনিশিয়েটিভের আওতায় উন্নয়ন সংস্থা বন্ধন সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (বিএসডিপি) এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।
২৮ জুলাই রবিবার নগরীর পুলিশ লাইন রোডস্থ সেলিব্রেশন পয়েন্ট মিলনায়তন সভা কক্ষে আলোকিত যুব সমাজ প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
বিএসডিপি’র নির্বাহী পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে উক্ত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বরিশাল জেলা সমাজসেবা সহকারী পরিচালক মোঃ সহিদুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বরিশাল যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর মোঃ আঃ হাই মল্লিক, আলোকিত যুব সমাজ প্রকল্পের যুব সদস্য সুমাইয়া আক্তার, একশনএইড বাংলাদেশের এসোসিয়েট প্রোগাম অফিসার এজেডএম মৌসুম ইসলাম ও ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাষ্টিসের প্রধান সমন্বয়কারী শাকিলা ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন বাংলাদেশ মডেল ইয়ূথ পার্লামেন্ট’র নির্বাহী প্রধান সোহানুর রহমান। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রায় অর্ধশতাধিক সদস্য অংশগ্রহণ করেন। এসময় প্রকল্পের বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশ গ্রহণকারী যুবরা তাদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে সরকারের আরো বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহবান জানায়।
বিএসডিপির প্রোগ্রাম অফিসার জাহিদুল ইসলাম জানান, ‘আলোকিত যুব সমাজ প্রকল্পের মাধ্যমে নগরীর ১০, ১৪, ২৩, ২৪ এবং ২৮নং ওয়ার্ডে ১শ তরুন-তরুণীর সার্ভে করা হয়েছে। সার্ভেতে তারা নিজ নিজ এলাকার সমস্যা তুলে ধরে। এর মধ্যে প্রথমে তারা বেকারত্ব সমস্যার কথা উল্লেখ করেছে। এছাড়া বরিশাল নগরীর দ্বিতীয় সমস্যা বলা হয়েছে মাদক, তৃতীয় সমস্যা স্বাস্থ্য সমস্যা ও নারীর প্রতি সহিংসতা, বিশুদ্ধ খাবার পানি এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার তথ্য পাওয়া গেছে।’ জাহিদুল ইসলাম আরো জানান, অধিকাংশ যুবরাই জাতীয় যুব নীতি সম্পর্কে জানে না। যা যুব উন্নয়নে বিশাল প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখা দিয়েছে।
এসময় জেলা সমাজসেবা ও যুব উন্নয়ণ অধিপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন তরুণদের উন্নয়ন ছাড়া টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জন করা সম্ভব নয়। এজন্য তরুণদের শুধু সরকারী চাকুরীর পিছনে না ছুটে নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। এ কারনে প্রশিক্ষনের মাধ্যমে যুবদের নেতৃত্ব ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে সমাজসেবা ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সব সময়ে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।