১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সিলেটে বেপরোয়া টোকেন নুরুল, কঠোর লকডাউনে থামেনি টোকেন বাণিজ্য

অভিযোগ
প্রকাশিত এপ্রিল ১৯, ২০২১
সিলেটে বেপরোয়া টোকেন নুরুল, কঠোর লকডাউনে থামেনি টোকেন বাণিজ্য

সিলেটে বেপরোয়া টোকেন নুরুল, কঠোর লকডাউনে থামেনি টোকেন বাণিজ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটে কঠোর লকডাউনের মধ্যে বন্ধ হয়নি শীর্ষ চাঁদাবাজ নুরুলের টোকেন বাণিজ্য। লকডাউন ও সকল নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে সিলেট জেলার জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাট সড়কে প্রায় তিন হাজার অবৈধ রেজিস্ট্রেশন বিহীন (নম্বরবিহীন) সিএনজি চালিত অটোরিক্সা নুরুলের বিশেষ টোকেনের মাধ্যমে দেদারছে চলাচল করছে।

চলমান কঠোর লকডাউনের সোমবার (১৯ এপ্রিল) বটেশ্বর সদর শেষ সীমান্তে সিএনজি চালিত অটোরিক্সাসহ সকল ধরণের যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন এসএমপির ট্রাফিক পুলিশ। তখন নুরুলের টোকেনে চালিত কয়েকটি নম্বরবিহীন সিএনজি আটক করা হয়।

অভিযান চলাকালে কয়েকজন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহের জন্য দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট হযরত ও সাখাওয়াত এর সাথে আলাপ করেন। এ সময় আটক নম্বরবিহীন সিএনজি ছাড়িয়ে নিতে ওই স্থানে উপস্থিত হন আলোচিত টোকেন নুরুল। পরে তিনি সংবাদিকদের কর্তব্য কাজে বাঁধা প্রদান করেন। এমনকি পুলিশ সদস্যদের সামনে ক্রাইম সিলেটের স্টাফ রিপোর্টার রায়হান হোসেন মুন্নাকে ধাওয়া করেন। এরপর পুলিশের সহযোগিতায় তিনি নুরুলের হাত থেকে রক্ষা পান সাংবাদিক। ক্ষীপ্ত নুরুল ওই সাংবাদিককে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা ও প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করেন।

জানা গেছে, এই তিন সড়কে রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিএনজি অটোরিক্সার সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজারেরও বেশী। আর অবৈধ গাড়িগুলো চলছে বিশেষ টোকেন’র মাধ্যমে। টোকেন বাণিজ্য করে মাসে লাখ লাখ ও বছরে কোটি টাকারও বেশি হাতিয়ে নিচ্ছে নুরুল সিন্ডিকেট।

টোকেন সিন্ডিকেট প্রদানের নাম নুরুল হক উরফে টোকেন নুরুল। সে জৈন্তাপুর উপজেলার ৫নং ফতেহপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বালিপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মনাফের পুত্র। এই প্রদানের ইশারায় এই তিন সড়কে দীর্ঘদিন দিন থেকে চলছে নম্বরবিহীন অটোরিক্সা। পরিচিতি শুধু টোকেন।

এই সড়কগুলোতে রেজিস্টেশনবিহীন অটোরিক্সা চলতে প্রতিটি সিএনজি অটোরিক্সাকে প্রতি মাসে কিনতে হয় ৫শ’ থেকে ১৫শ’ টাকার টোকেন। আদায়কৃত এই চাঁদা থেকে নম্বর ও রেজিষ্ট্রেশনবিহীন অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সা চলাচলের জন্য বিভিন্ন দপ্তরকে ম্যানেজ করা হয়ে থাকে বলে বিশ্বস্থ একটি সূত্র তা নিশ্চিত করেছে।

টোকেন বাণিজ্যের মূলহোতা নুরুল হক ও তার গড়ে তোলা সিন্ডিকেটের কয়েকজন মিলে তাদের বড় একটি সিন্ডিকেট। এই তিন উপজেলার সব ক’টি সড়কের নিয়ন্ত্রকরা রেজিস্টেশনবিহীন সিএনজি অটোরিক্সা (অনটেষ্ট) গাড়িতে টোকেন লাগিয়ে দিলে সেটি চলাচলের জন্য বৈধ হয়ে যায়। সিএনজি অটোরিক্সা তাদের মাধ্যমে চলাচলে প্রথমে এককালীন ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা চাঁদা নেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট প্রতিটি সিএনজি অটোরিক্সার জন্য একটি টোকেন বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই টোকেন অটোরিক্সার সামনের গ্লাসে লাগিয়ে দিলে গাড়িগুলো সড়কে চলতে আর কোনো অসুবিধা থাকেনা। এই উপজেলাগুলোতে এমন অটোরিক্সার সংখ্যা প্রায় তিন হাজার যা অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

সূত্র : অনলাইন পৃথিবীর কথা পত্রিকা।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031