৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

মাধবদীতে চুরির অভিযোগে যুবককে হত্যার তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে পুলিশের গড়িমসি

অভিযোগ
প্রকাশিত মার্চ ১৩, ২০২১
মাধবদীতে চুরির অভিযোগে যুবককে হত্যার তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে পুলিশের গড়িমসি

মাধবদীতে চুরির অভিযোগে যুবককে হত্যার তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে পুলিশের গড়িমসি

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ-

ভ্যানের ব্যাটারি চুরির অভিযোগে নরসিংদী মাদবধীর আব্দুল্লাকান্দি এলাকায় শরিফ মিয়ার বাড়িতে এক যুবককে পরিকল্পিত ভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।

মো. আলি হোসেনের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলা ভূলতা ইউনিয়নের ভায়েলা গ্রামে। সে ঐ এলাকায় পাওয়ারলোম ড্রয়ারম্যান হিসেবে কাজ করতো।

আলি হোসেনের ভাই মনির হোসেন বলেন, আজ প্রায় দুইমাস হয়ে গেলো মামলা দায়ের করেছি আজ পর্যন্ত একজন আসামিকেও গ্রেফতার করেতে পারে নাই পুলিশ এবং তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে করছে বিভিন্ন তালবাহানা।

প্রসঙ্গত, মো,মনির হোসেন বাদি হয়ে মাধবদী থানায় ১২/১/২০২১ তারিখে একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং ১১ উক্ত মামলায় ১০ জনকে আসামি করা হয়, তারা হলো, ১/ এরশাদ মিয়া(৩০) ২/ রুবেল মিয়া( ৩২) ৩/ আলেক মিয়া (৩৪) সর্ব পিতা- মৃত তাহের আলি ৪/মো,সিয়াম (২০) পিতা- আক্তার হোসেন ৫/ মো, রাজু( ২২) পিতা- আক্তার মিয়া ৬/ বাবুল মিয়া (৩১) পিতা -শুক্কুর আলি ৭/ আশিক মিয়া (২৩) পিতা -আব্দুল আজিজ ৮/ সম্রাট মিয়া( ২৭) পিতা -ছিদ্দিক মিয়া সর্ব সাং আব্দুল্লাহ কান্দি, থানা মাধবদী, জেলা নরসিংদী, ৯/ শরিফ মিয়া (৩৫) পিতা নরুল হক হাওলাদার ১০/ মোসা,শারমিন (২৬) স্বামী- শরিফ মিয়া। পরবর্তী তে ২২/০১/২০২১ তারিখে সুষ্ঠু ও সঠিক বিচার পাবার আসায় বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন রূপগঞ্জ আঞ্চলিক শাখায় মনির হোসেন বাদি হয়ে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেন।

এজাহার প্রসঙ্গে, মনির হোসেন, আমার ভাই আলি হোসেন( ৩২) বিগত দুইবছর যাবত বিবাদি শরিফ মিয়ার বাড়িতে ভারাটিয়া হিসেবে বসবাস করতো।

শরিফ মিয়া মাধবদী এলাকার বিভিন্ন পাওয়ারলোমের মালিকদের নিকট হতে কাজ কন্ট্রাক নিয়ে আমার ভাইসহ অন্যান্য শ্রমিকদের মাধ্যমে কাজ করাতো। গত ৮/০১/২০২১ তারিখে বাড়ির মালিক শরিফ মিয়া বাড়ি হতে ভ্যানের ব্যাটারি চুরি হয়, উক্ত চুরির ঘঠনায় আমার ভাইকে চোর সন্দেহে বাড়ীর মালিকের স্ত্রী শারমিন এর ডাকে উপরোক্ত বিবাদিগন মিলে আলি হোসেন কে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর করে এবং মৃত্যু নিশ্চিত হলে শরিফ মিয়ার নিজ বসত ঘরের বারান্দার রুমে চালের এঙ্গেলের সাথে লুঙ্গি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দেয় এবং তা আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করে ।

উক্ত মামলার তদন্ত অফিসার এসআই আব্দুর রাজ্জাকের সাথে গত ৮ দিন আগে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি ছুটিতে আছি তাই কিছু বলতে পারবো না, পরে আবার যোগাযোগ করা হলে বলেন আমি ছুটি থেকে আসছি ৩ দিন হয়েছে, তবে আমি শুনেছি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থানায় এসেছে আমি এখনো দেখি নাই।

এবিষয়ে বিবাদী শরিফ মিয়া বলেন,ঘঠনার দিন আমি বাড়িতে ছিলাম না, তবে সে চুরির অপবাদ সয্য করতে না পেড়ে আত্মহত্যা করেছে বলে তার দাবি।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031