৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

শরনখোলায় পাবজি গেমের নেশায় আসক্ত হয়ে যুব সমাজ ধ্বংস

অভিযোগ
প্রকাশিত ডিসেম্বর ৭, ২০২০
শরনখোলায় পাবজি গেমের নেশায় আসক্ত হয়ে যুব সমাজ ধ্বংস

শরনখোলায় পাবজি গেমের নেশায় আসক্ত হয়ে যুব সমাজ ধ্বংস

 

সাব্বির হোসেন, শরনখোলা প্রতিনিধিঃ-

বাগেরহাট জেলার শরনখোলা উপজেলায় পাবজি,ফ্রি ফায়ার গেমসের নেশায় আসক্ত যুবক তরুনেরা।

বিকেল হলেই এরা রাস্তার পাশে আসক্ত হয়ে পড়ে এ নেশায়।এদের কাছে শুধু বিকেল আর রাত নয় যখন সময় পায় তখন শুরু করে এ খেলা।

বিকেল থেকে শুরু করে রাত ৯–১০ টা পর্যন্ত রাস্তার পাশে বসে একাধারে খেলতে থাকে এ গেমস। দেখার কেউ নাই,এতে ধ্বংস হচ্ছে হাজার হাজার যুবক ছেলে।শুধু রাস্তায় নয় পথে ঘাটে,আনাচে কানাচে এ খেলায় আসক্ত হচ্ছে যুব সমাজ।

শরনখোলার পহলানবাড়ি ডি এন কারিগরি কলেজের সামনে রায়েন্দা টু ঢাকা মহাসড়কের পাশে বসে খেলছে গেমস।

শুধু শরনখোলার পহলানবাড়ি নয় শরনখোলার বিভিন্ন স্থানসহ সারা বাংলাদেশে এ গেমসের কারণে ধ্বংস যুব সমাজ। এ গেমসে আসক্ত হয়ে পড়ছে তরুনেরা যার কারণে এদের মধ্যে থেকে হারিয়ে যাচ্ছে দেশপ্রেম। এদের দেশের প্রতি কোনো ভালোবাসা নেই,দেশকে এরা ভাবে না,পরিবারের দিকেও নেই কোনো টান।

পাবজি খেলার উপকারীতা: এ খেলায় কোনো উপকারিতা নেই শুধু শুধু সময় নষ্ট ছাড়া কিছুই না।

অপকারীতা: এ খেলায় অপকার ছাড়া কোনো উপকার নেই।এ খেলায় আসক্ত হয়ে ধ্বংস হচ্ছে তরুণ তরুণীরা।শুধু ধ্বংস হচ্ছে না এদের মধ্যে থেকে হারিয়ে যাচ্ছে দেশপ্রেম। এদের প্রতি এদের কোনো ভালোবাসা নেই। দেশকে নিয়ে ভাবছে না এরা,যার কারণে দেশে অন্যায় অত্যাচার বেড়ে গেছে।এ নেশায় আসক্ত হয়ে ব্রেনের সমস্যা হচ্ছে, অনেকক্ষন ফোনের দিকে চেয়ে থাকার কারণে চোখে সমস্যা হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে সময়।

এ গেমস খেলতে গেলে প্রয়োজন এম্বির,আর এম্বি কেনার জন্য প্রয়োজন অর্থের যার কারণে ব্যয় হচ্ছে অর্থের। এই গেমসে বেশি আসক্ত হচ্ছে তরুণ তরুণী। আর তরুণ তরুণীরা বেশির ভাগ বেকার যার কারণে এম্বি কিনতে যখন টাকায় সমস্যা হয় তখন এরা চুরি ছিনতাইয়ের দিকে বেশি ধাবিত হয়।এতে তরুণ তরুণীদের সাথে সমস্যায় পড়েছে তার পরিবার। এভাবেই এ গেমসের কারণে ধ্বংস হচ্ছে এদেশের তরুণপ্রজন্ম।

এ গেমসে আসক্ত হচ্ছে যারা: বেশিরভাগ স্কুল কলেজে পড়ুয়া ছেলেমেয়েরা, এবং বেকার অবসার সময় কাটানো মানুষ।

যে কারনে এ গেমসের দিকে ধাবিত হচ্ছে তরুণপ্রজন্ম :হতাশা,বিভিন্ন তরুণ আছে যারা বেকার সমস্যায় ভুগছে তারা পাচ্ছে না চাকরি বা কাজ এ কারণে সময় কাটানোর জন্য আসক্ত হচ্ছে এ নেশায়। অবসর,যেহেতু দীর্ঘদিন করোনাভাইরাস সমস্যার কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ,তার কারণে তরুণ তরুণীরা অবসর সময় পার করার জন্য এ গেমস খেলছে আর এই গেমস খেলার কারণে একসময় আসক্ত হয়ে পড়ছে গেমসের দিকে।

তরুণ প্রজন্মের গেমসের আসক্ত থেকে মুক্তির উপায় :প্রাথমিকপর্যায়ে প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে। নতুন আইন পাশ করতে হবে। সন্ধ্যার পরে ছেলেমেয়েদের বাহিরে বের হতে দেওয়া যাবে না, এজন্য পারিবারিক ব্যবস্থা নিতে হবে। পরিবারের লোকজনকে সচেতন হতে হবে।

তরুণপ্রজন্মকে নিয়ে বিভিন্ন সভা সেমিনার করতে হবে। তাদেরকে গেমসের কুফল সম্পর্কে বুঝাতে হবে। তাদের ভিতর দেশপ্রেম জাগ্রত করতে হবে। তাদের নিয়ে বিভিন্ন বিনোদনমুলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে হবে। সবশেষে স্কুল কলেজ খুলে তাদেরকে লেখা পড়ার দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।

সাংবাদিক হিসেবে আমার কিছু কথা :গেমস একটি ভয়ানক জিনিস যেটার কুফল ছাড়া সুফল নাই।আমরা তরুণ প্রজন্ম,আগামীর দেশ আমাদের হাতে তাই আমাদের ভিতর দেশপ্রেম জাগ্রত করে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রতয় নিয়ে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031