
লক্ষ্মীপুরে চেয়ারম্যান দম্পতির উপর যুবলীগ নেতা রূপমের হামলা
মু,ইসমাইল হোসাইন (রনি),লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি :-
লক্ষ্মীপুরের যুবলীগ নেতা ইউনুস হাওলাদার রুপম ও তার বাহিনী দিয়ে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা ২০ নং চররমনী মোহন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু ইউছুফ ছৈয়াল ও তার স্ত্রী উপর অতর্কিত হামলার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় আওয়ামী যুব লীগসহ ৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সদর থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
( ৪ ডিসেম্বর) শুক্রবার রাতে ইউপি চেয়ারম্যান আবু ইউছুফ ছৈয়াল নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
উক্ত মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, ১। লক্ষ্মীপুর সদর পূর্ব যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক ইউনুস হাওলাদার রুপম (৩৬), পিতা সাইফুল ইসলাম হাওলাদার।
২। আবুল কালাম আজাদ(৩৫),পিতা: বশির উদ্দিন বাবলু।
৩। আবদুর রহিম( ৪২) পিতা : হাজী মোঃ আনোয়ার হোসেন।
৪। আরাফাত হোসেন(৩০), পিতা : মহিবুল ইসলাম।
৫। তানভীর রহমান রুবেল(৩২), পিতা: মৃত শফিকুর রহমান।
৬।আহম্মদ উল্যা মুরাদ(২৬)পিতা : মহিউদ্দিন।
৭।ফরহাদ লাল (২৪) পিতা: বছির উদ্দিন বাবলু।
৮। কাজল মিয়া(২৮) পিতা: আব্দুল আলী, সহ অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইউপি চেয়ারম্যানের আবু ইউসুফ ছৈয়ালের সাথে ইউনুস হাওলাদার রুপমের সঙ্গে লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মজুচৌধুরী লঞ্চ ফেরি ঘাটের ইজারা টাকা নিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে।
চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ছৈয়াল গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ঘাট ইজারা নেওয়ার পর থেকে সে ঘাটের টাকা পয়সা আত্মসাৎ করে। কয়েকবার বসার পরেও সে ঘাটের কোন হিসাব নিকাশ দিচ্ছে না। আনুমানিক( ৫৩ লক্ষ) টাকা সে হাতিয়ে নিয়েছে। বিভিন্নভাবে তাকে বলা হলেও সে আমার সাথে বসতে চায় না। উল্টো আমাকে পাওনা টাকার দোহাই দিয়ে বিভিন্নভাবে টাকা-পয়সা চেয়ে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায়(৪ ডিসেম্বর) শুক্রবার আনুমানিক ১১ টার সময়ে চক বাজার সফিক বাদ্রাসের সামনে ইউনুস হাওলাদার রূপমের দলবদ্ধভাবে লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে নগদ (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা হাতিয়ে নেয়। চেয়ারম্যানের লোকজন থানায় গিয়ে জানালে তাৎক্ষণিক পুলিশ এসে চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ছৈয়ালকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
অন্যদিকে চেয়ারম্যানের স্ত্রী ঘটনার কথা শুনে হাসপাতালে যাওয়ার পথে ইউনুস হাওলাদার ও তার দলবল তাকেও বেদম মারধর করে গলায় (দুই ভরি) ওজনের সোনার সেন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ধাওয়া করলে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরিশেষে স্থানীয়রা
চেয়ারম্যানের স্ত্রী কে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এবিষয়ে সদর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক রুপম হাওলাদারসহ অভিযুক্তরা মারধরের ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, টাকা দিয়ে ঘাট ইজারা নিয়েছি লাভের আশায় কিন্তু চেয়ারম্যান আমাদের টাকা ফেরত না দিয়ে ঘাটের লাভ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন আমাকে। পাওনা টাকা ফেরত পেতে বার বার বললেও তিনি এড়িয়ে যান বিদায় শুক্রবারে আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম আমার টাকাটা দিবে কিনা। প্রতিত্তরে তিনি গালমন্দ করেন।