৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ঘরে পলিথিনের চালা’ই শেষ ভরসা!

প্রকাশিত অক্টোবর ৬, ২০২০
ঘরে পলিথিনের চালা’ই শেষ ভরসা!

 

 

 

 

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের মোঃমমিনুল ইসলাম অসুস্থ বৃদ্ধ বাবা-মা,এক প্রতিবন্ধি ছেলে, তিন মেয়ের পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করে আসছে।খুঁটির উপর নগ্নপ্রায় পলিথিন মোড়ানো এক চালার নিচেই সকলের বসবাস।কিশোর কাল থেকেই বাবা অসুস্থ থাকায় সংসারের হাল ধরতে হয় মমিনুল ইসলামকে।অন্যদিকে দীর্ঘদিন মা অসুস্থ থাকায় প্রায় ১২বছর আগে মমেনা আক্তার নামের এক মেয়েকে বিবাহ করে দাম্পত্য জীবন শুরু করে মমিনুল।সংসারের ঘানি টানতে দৈনিক নানা রকম কর্ম করে সংসার চালাতে হয় মমিনুলের।ঢাকায় দীর্ঘ দিন রিকশা চালিয়ে কখনো হেয়ার কাটিং সেলুনে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো।কিন্তু বাড়িতে অসুস্থ বৃদ্ধ বাবা-মা,শারিরীক প্রতিবন্ধি সন্তানসহ পরিবার সামলানো মমিনুলের স্ত্রীর পক্ষে একেবারে অসম্ভব হয়ে পড়লে ঢাকা থেকে মমিনুল বাড়ি ফিরে আসতে বাধ্য হয়।বাড়িতে এসে কর্মের খোঁজে প্রতিনিয়ত ছুটেও ব্যর্থ হয়ে ভেঙে পড়ে মমিনুল।

এলাকাবাসীর কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে কখনো কখনো চালাতে পরিবারের অসুস্থ বাবা-মা,প্রতিবন্ধি সন্তানসহ ৮সদস্যকে।

মমিনুল এক পর্যায়ে দিশেহারা হয়ে অর্থের অভাবে থাকার ঘরের চালাও ঠিক করতে না পেরে বলেন “এমন জীবন সংসার নিয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে মৃত্যুই ভালো!”

যদিও কোন রকমে ভাত জোটে নুনে তেলে,অপরদিকে থাকার জন্য নেই ঘর।উপরের পলিথিনের চালাও নষ্ট প্রায়।বৃষ্টি এলেই প্রতিবন্ধি শিশুসহ বাকি সকলকে আশ্রয় নিতে হয় চৌকির নিচে।আবার দিবালোকের রৌদ্রতাপের হাত থেকে রক্ষা পেতে উপরে টাঙানো হয় লুঙ্গি ও কাপড়ের ন্যাকড়া।

আবার সেই চালাবিহীন প্রায় ঘরেই জ্বালাতে হয় চুলার উনুন।

দৈনন্দিন নানাভাবে ক্ষুদ্র আয় করে,আবার কখনো কখনো অসহায় হয়ে মানুষের কাছে হাত পেতে খাবার রুজি যোগাড় করলেও থাকার মত ঘরটি জোড়ানোর নেই বিন্দু মাত্র সাধ্য আমিনুলের।

দেশের কাছে,সভ্য সমাজের কাছে আমিনুলের শেষ আবেদন একটি বাসযোগ্য ঘরের

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031