৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

নারী নির্যাতন প্রতিরোধে শীর্ষক আলোচনা- প্রীতি যুব কল্যান সংস্থা

অভিযোগ
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০
নারী নির্যাতন প্রতিরোধে শীর্ষক আলোচনা- প্রীতি যুব কল্যান সংস্থা

নারী নির্যাতন প্রতিরোধে শীর্ষক আলোচনা- প্রীতি যুব কল্যান সংস্থা

 

 

 

 

সানিউর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকেঃ-

আজ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ বিকাল – ৩ ঘটিকায় প্রিতী যুব কল্যান সংস্থা আয়োজিত, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

প্রায় অর্ধশত নারীদের নিয়ে রাজধানী ঢাকার মানিকনগর এলাকায় উক্ত অনুষ্ঠানটি নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান সংগঠনটির সভাপতি প্রীতি ইসলাম পারভীন। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, কোতয়ালী থানা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা হোসনে আরা বেগম।

 

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা কাউন্সিলর সংরক্ষিত আসন-২ ঢাকা দক্ষিণ সিটিকরপোরশন এর মাকসুদা শমশের।

 

বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো উপস্থিত ছিলেন , ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ এর সভাপতি এ.বি. এম শরীফ ,সভাপতিত্বে করেন : প্রীতি ইসলাম পারভীন ,সভাপতি প্রীতি যুব কল্যান সংস্থা
আলোচনা সভায় বক্তারা নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে বিভিন্ন বিষয় কোথা বলেন দেশে দিন-রাতের কোনো সময়ই নারী ও মেয়ে শিশুরা নিরাপদ নয়।

 

মহিলা ও মেয়ে শিশুদের সম্মান-সুরক্ষার এই দায়িত্ব কেবল মহিলাদের হতে পারে না। সমাজের সব অংশের মানুষকে সমবেতভাবে মানবতার উপর এই আক্রমণকে রুখে দিতে হবে। সেই লড়াইয়ে জোর আনতে শুরু থেকেই পারিবারিক পর্যায়ে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। যা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। দেশে নারী ও মেয়ে শিশুদের উপর ক্রমবর্ধমান শোষণ, বঞ্চনা, বৈষম্য , নির্যাতন চলছে।

 

এমন প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে কিভাবে স্বাধীনতার চেতনায় দেশ গড়ে উঠবে তা নিয়ে প্রত্যেকের ভাবার সময় এসেছে। নারীদের অগ্রগতি থাকার পরও তাদের উপর নির্যাতন চলছে।

 

তাদের এত সফলতা থাকার পরও পুরুষদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাচ্ছে না। অপরদিকে পারিবারিক নির্যাতন বন্ধে পারিবারিক ও সামাজিক আন্দোলন আরো শক্তিশালী করতে হবে। যে পরিবারে নারী নির্যাতন হয় সে পরিবারের শিশুরা শিক্ষা, দীক্ষা ও সামাজিকভাবে অন্য শিশুদের তুলনায় অনেক পিছিয়ে পড়ে।

 

এছাড়া যে ছেলেশিশুরা নির্যাতন দেখে বড় হয় তারা ভবিষ্যতে নির্যাতকের ভূমিকা পালন করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল দেশে নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠিত করা।

 

বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা না হলে আজ বিশ্বে বাংলাদেশ অন্যতম মানবিক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতো। বর্তমান সরকার নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে কাজ করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাই নারীর ক্ষমতায়নে সবাই মিলে কাজ করব। একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকেও অশিক্ষিত রাখতে চায় না সরকার।

 

প্রধানমন্ত্রী নারীকে উদ্বুদ্ধকরণ, ক্ষমতায়ন, তাদের অধিকার বাস্তবায়নসহ নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। বাংলাদেশ পুরুষশাসিত হলেও নারীর প্রাধান্য অনেক। নারী-পুরুষ ঐক্যবদ্ধ থাকলে বাংলাদেশে আর কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটবে না। এজন্য প্রয়োজন পারিবারিক অনুশাসন। নারীর প্রতি সম্মান, নারীর প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত করতে হলে প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে এর আচার-আচরণ শিক্ষার্থীদের শেখাতে হবে।

 

নারীদের সম্মান নিশ্চত করা মানেই নিজের সম্মান রক্ষা করা’। নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ হচ্ছে না কেবল বিচারহীনতার কারণে। প্রতিটি মানুষকেই জীবনের শুরু থেকে নারী-পুরুষ হিসেবে নয়, সকলকে মানুষ হিসেবে সম্মান করা শেখাতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031