৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

মুজিব বর্ষেই স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকদের বেতন ভাতা দেয়া হোক

অভিযোগ
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০
মুজিব বর্ষেই স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকদের বেতন ভাতা দেয়া হোক

মুজিব বর্ষেই স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকদের বেতন ভাতার দাবিপ্রভাষক

 

 

মো. ইউসুফ আলী,ইলমেদ্বীন শিক্ষা করা প্রত্যেক মুসলিম’র উপর ফরজ । আর এই ইলমেদ্বীন শিক্ষা দেওয়ার জন্য ৯২ ভাগ মুসলিম দেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, বাংলাদেশের স্থপতি, বাংলার সফল রাষ্ট্র নায়ক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা র্বোড গঠন করেন ।

 

সেই মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধিনে পর্যায়ক্রমে গড়ে ওঠে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা এবং ইসলামী মৌলিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে দেশে চালু করা হয় এসকল স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাগুলো । দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, নৈতিকতা, আদর্শ , দক্ষ ও যোগ্য জনশক্তি গঠনের এই প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো চরম অবহেলিত ।

 

যদিও চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে ডাটা বেইজ এর কাজ চলছে জানিনা এই কাজে আবার কত বছর চলে যায়। তাই কর্তৃ পক্ষের কাছে বিনীত ভাবে অনুরোধ করছি যাতে আর সময়ক্ষেপন না হয় যতদ্রুত পারাযায় এসকল শিক্ষকদের বেতন ভাতার ব্যবস্থা করুন। কয়েক যুগ আগে দেশে হাজার হাজার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা ছিল কিন্তু দীর্ঘ দিন বেতন ভাতা বিহীন এসকল প্রতিষ্ঠান আর চলতে না পেরে পরিশেষে হাজার হাজার প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গিয়েছে এমননি কোন উপজেলায় এখন আর একটি মাদরাসাও চলমান নেই ।

 

যেমন শরীয়তপুর জেলার জাজিরা, ডামুড্যা, ভেদরগঞ্জ, সখিপুর ও নড়িয়া উপজেলায় এখন আর একটি মাদরাসাও চলমাননেই । শরীয়তপুর সদর উপজেলায়ই ৪২ টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা স্বীকৃতি লাভ করেছিল বতর্মানে মাত্র ২টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা চলমান আছে, শরীয়তপুর ০১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জননেতা মো. ইকবাল হোসনে অপু সাহেবের প্রচেস্টায় ও আর্থিক সহায়তায় । তিনি খেয়াল না রাখলে ঐ ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বহু দিন আগেই বন্ধ হযে যেত ।

 

অনুরুপভাবে সারাদেশে হাজারও প্রতিকুলতা পেরিয়ে ৪৩১২ টি মাদরাসা এখনো চালু রয়েছে । আমাদের সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার । তাই এসকল মাদরাসার শিক্ষকগন গনতন্ত্রের মানস কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দিকে চাতক পাখির মত তাকিয়ে রয়েছে ।

 

 

কেননা এসকল শিক্ষকগন জানেন জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের রাষ্ট্র প্রধান তিনি আমাদের জন্য কিছু একটা বিহিত ব্যবস্থা করবেনই । যেহেতু তিনি ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩টি রেজি. প্রাথমিক বিদ্যালয়কে একত্রে জাতীয়করণ করেছেন ।

 

 

এখন সময় হয়েছে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাকে একটি পযার্য়ে নিয়ে যাওয়ার । তাছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে দেশের মাদরাসা শিক্ষার ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে ।

 

এমপিও ভুক্ত মাদরাসার সার্বিক উন্নয়নসহ বহু ননএমপিও মাদরাসা এমপিওভুক্ত করেছেন । কওমী মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস’র সনদকে এমএ’র সমমান দিয়েছেন । এবং করোনার এই মহামারিরকালে কওমী মাদরাসাগুলেোকে আর্থিক অনুদানও প্রদান করেছেন ।

 

আমরা জানি, গনতন্ত্রের মানস কন্যা, মাদার অব হিউম্যানেটি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার বিষয়ে খুবই সদয় এবং সহানুভূতিমীল ।

 

 

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা সংক্রান্ত নীতিমালা ২০১৮ প্রণয়ন ও অনুমোদনসহ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকদের বিভিন্ন সময়ে ভাতা বৃদ্ধি এবং যাবতীয় উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন এ সরকারের মাধ্যমে পূরণ হতে চলছে । সমগ্র জাতি এ বিষয়টি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণকরে ।

 

 

দীর্ঘ ৩ যুগ অপেক্ষার পর নীতিমালা ২০১৮ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ৩১১ কোটি টাকা বরাদ্দের মাধ্যমে চার হাজার এর অধিক স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা এমপিওভুক্তির বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয় ।

 

 

গত নভেম্বর ২০১৯ খ্রি. থেকে ১ মাসের মধ্যে সারা দেশের ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকদের তথ্য শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে চেয়েছিল । গত কয়েক মাস অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরেও পুনরায় এপ্রিল মাসে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার তথ্য দ্রুত পাঠানোর জন্য ডিসিদেরকে তাগিদ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রনালয় ।

 

 

বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে আমার মনে হয় তথ্য পেতে এত কষ্ট না করে যেসকল মাদরাসার কোড নম্বর আছে যাদের কয়েক বছরের রেজাল্ট আছে, এবং যারা এবছরও ৫ম সমাপনী পরীক্ষার জন্য ডিআর লিস্ট জমা দিয়েছে সেসকল মাদরাসার শিক্ষকদেরকে অতিদ্রুত বেতনভাতা দেয়া দরকার ।

 

 

কেননা আমি অনেক আগের কথা বলছি না গত ২০১৭ খ্রি. ২৫ আগষ্টের মধ্যেও একবার তথ্য নেয়া হয়েছিল । ব্যনবেইস, মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড ও ওয়েব সাইটেও তাদের তথ্য আছে সুতরাং বছরের পর বছর চলে যাবে তথ্য পৌছাতে পৌছাতে সুতরাং কালবিলম্ব না করে তাদের বেতনভাতার দেযা দরকার বলে মনে করছি । কারন এই করোনা মহামারিতে বহু শিক্ষক না খেয়ে বিনা চিকিৎসায় দিনাতিপাত করছে এবং ধুকে ধুকে মরছে ।

 

 

এসকল শিক্ষকদেরকে এবং তাদের পরিবারের সদস্যদেরকে আর কষ্ট না দিয়ে ওয়েব সাইট থেকে তথ্য যাছাই করে বেতন এর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন । অনেক শিক্ষক বিনা বেতনে কষ্ট করতে করতে বৃদ্ধ হয়েগেছে এদের পেটে আগে ভাতের ব্যবস্থা করতে হবে, তার পরে যত পারা যায় শর্ত দেয়া যেতে পারে ।

 

১৯২০ খ্রিষ্টাব্দ। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এ পৃথিবীতে আবির্ভূত হবার বছর।

 

এখন চলছে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দ তাঁর জন্মের শত বছর পূর্ণ হল। যেদিন টুঙ্গিপাড়ায় মায়ের কোল আলোকিত করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পৃথিবীতে এসেছিলেন, সেদিন অবহেলিত নির্যাতিত বাঙ্গালি জাতির সৌভাগ্যের চাদঁ হয়ে তাঁর আবির্ভাব হয়েছিল। আল্লাহর রহমতে একজন শেখ মুজিবুর রহমানের কারণে জাতির ললাট থেকে পরাধীনতার হাজার বছরের কলঙ্ক তিলকটি মুছে গিয়েছিল ।

 

 

অন্ধকারে নিমজ্জিত এক জাতি খুঁজে পেয়েছিল আলোর দিশারী । অজোপাড়াগাঁয়ের এক খোকা হয়ে উঠেন জাতির মহানায়ক । সমগ্র বাঙ্গালির জাতির পিতা । গোপালগঞ্জ’র টুঙ্গিপাড়া হয়ে উঠে বাঙ্গালী জাতির আশা ভরসার শেষ আশ্রয় স্থল । সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে আজও দুর্দিনের সাহস খুঁজে পাই আমরা । যে কয়জন মহামানব বিশ্ব ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাদের মধ্যে অন্যতম ।

 

 

অন্যায়, অবিচার, অত্যাচার, বৈষম্য ও শোষন-বঞ্চনার বিরুদ্ধে এমন প্রতিবাদী মানুষ শুধু আমাদের দেশে কেন, সারা দুনিয়ায় আর ক’জন জন্ম নেবে কে জানে? এ কারণেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি।

 

 

সুখে শান্তিতে জীবন যাপন আর মর্যাদা নিয়ে এসকল শিক্ষকদের বেঁচে থাকার জন্য বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের প্রাক্ষালে ঐতিহাসিক মুজিববর্ষে প্রাথমিক স্কুল এর ন্যায় অন্তত যাদের ৫ম সমাপনী রেজাল্ট আছে ও কোড নম্বর আছে সেসকল স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা গুলো সরকারিকরণ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে বেতন ভাতা প্রদান করা অপরিহার্য।

 

 

সেটি করা হলে বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উদযাপনের বছরটি ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক হিসেবে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

 

 

এসকল প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত হাজার হাজার শিশু ও বৃদ্ধ মানুষ গুলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ন্যায় , মুজিব কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হৃদয়ের গহিনে চিরদিনের জন্য স্থান করে নিবে।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031