২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

দক্ষিন সুরমায় অবৈধ প্লাষ্টিক কারখানায় অধিদপ্তরের অভিযান, জরিমানা আদায়

অভিযোগ
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০
দক্ষিন সুরমায় অবৈধ প্লাষ্টিক কারখানায় অধিদপ্তরের অভিযান, জরিমানা আদায়

 

 

 

মোঃ জাহানুর,সিলেট থেকেঃ-
অবশেষে সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তর এর পরিচালক নিজেই অভিযান চালালেন শব্দ দূষন কারী অনুমোদনহীন প্লাষ্টিক কারখানা ।

 

সিলেট নগরীর ২৫নং ওয়ার্ডের মুছারগাওঁ গালিমপুর রোড সংলগ্ন বাংলার বারুদের নির্বাহী সম্পাদক বাবর হোসেনের বাড়ীর প্রবেশ রাস্তা এবং আবাসিক ভবন দোয়েল কমপ্লেক্স ও সুফিয়া কমপ্লেক্স সংলগ্ন জনৈক সৈয়দ জামাল আহমদ টিপুর ভুমিতে একদল বাহিরাগত লোক অনুমোদনহীন প্লাষ্টিককারখানা গড়ে তোলে ।

 

উক্ত কারখানায় প্লাষ্টিক ভাঙ্গার একটি মেশিন রয়েছে। সেই মেশিনের বিকট শব্দে আশপাশ এলাকার বাসিন্দা সহ ব্যবসা প্রতিষ্টানের লোকজন অতিষ্ট অবস্হায় ছিলেন। মেশিনটির আওয়াজে মানুষের লেখাপড়া, ইবাদত বন্দেগীসহ শ্রবন শক্তিতে মারাত্বক ক্ষতি হচ্ছিলো।

 

এছাড়াও উক্ত কারখানায় প্লাষ্টিক জাতীয় দ্রব্যপোড়ানোর সময় বিষাক্ত কালো ধোঁয়া নির্গত হত। সেই ধোঁয়া মানুষের চোখে মুখে জ্বালা পোড়া সহ বায়ু দূষন করছিলো।

 

এ ব্যাপারে ২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে লিখিত অভিযোগ করার পর এবং সংবাদ প্রকাশের পরবর্তী সময়ে সিটি কর্পোরেশনের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও কোনো কার্যকর প্রদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

 

উল্টো পাশবর্তী মোমিনখলার বাসিন্দা সাবেক কাউন্সিলর আশিক আহমদ ও তার ক্যাডার বাহিনী নানা অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়। চলতি বছরের গত ২৩ জুন সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক বরাবরে একটি আবেদন করেন ভুক্ত ভোগীরা।

 

আবেদনটি মাইনুদ্দিন নামে একজন পরিদর্শকের নামে হওলা করা হলেও পৌনে তিন মাস সময়েও প্লাষ্টিক কারখানা ও শব্দ দূষনের বিরুদ্বে কোনো কার্যকর ব্যবস্হা গ্রহন করা হয়নি।

 

এক পর্যায়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে বিষয়টি অবগত হন সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক এমরান আহমদ।

 

গত ১৫ সেপ্টেম্বর পরিচালক এমরান আহমদের নেতৃত্বে মুছারগাওঁস্থ অনোমোদনহীন প্লাষ্টিক কারখানায় হানা দেয় পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি শক্তিশালী টিম।

 

এ সময়ে কারখানা কতৃপক্ষকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং এক সপ্তাহের মধ্যে চিঠি দিয়ে শব্দ দূষন সক্রান্ত বেআইনী কার্যক্রম বন্ধ করা হবে বলে অধিদপ্তর সুত্র জানায়।

 

উল্লেখ্য পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট অফিসে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরও সংশ্নিষ্ট পরিদর্শক বিষয়টি নিয়ে তৎপরহীন থাকার ব্যাপারে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর নামে এক দালালের মাধ্যমে প্লাষ্টিক কারখানার লোকজন পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজনকে তৎপরহীন করে রাখতে সক্ষম হয়েছিলো।

 

অবশেষে অধিদপ্তরের পরিচালক এমরান আহমদ নিজেই অভিযানে নেমে দৃষ্টান্ত স্হাপন করলেন।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031