মো: মালিক মিয়া প্রতিনিধি কমলগঞ্জ:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ৩ নং মুন্সিবাজার ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের করিমপুর গ্রাম।
গত ২০১৮ সালের বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ওই ওয়ার্ডের ধলাই নদীর করিমপুর এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দেয়। সেই সময় ভাঙ্গনে এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয় পরবর্তীতে ধলাই নদীর বাঁধ মেরামত করা হলেও। কমলগঞ্জ পৌরসভার শেষ সীমান্ত করিমপুর বাসুদেবপুর গ্রামীণ দুর্গাবাড়ি রাস্তাটি কৃষকলীগ নেতা নুরুল ইসলাম( ইসলাম মিয়ার) বাড়ির নিকটে বন্যার পানিতে দুই জাগায় প্রায় ৫০ ফুট এবং ৩০ ফুট জায়গা নিয়ে ভেঙ্গে যায়।
আজ ১৯ জুলাই রোজ শুক্রবার বিকালে সরেজমিনে গেলে দেখা যায় রাস্তাটি বিগত ১ বছর অতিবাহিত হলেও মেরামত করা হয়নি আজও।
যার ফলে এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ।
গ্রামের খালেক মিয়া বলেন, দুর্গা বাড়ি সহ এ গ্রামের আশপাশের গ্রামের লোকজনের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা এটি,রাস্তাটি মেরামত না করার কারণে হাতা গাড়ি রিক্সা মোটরসাইকেল সহ কোন ধরনের গ্রামীণ যানবাহন চলাচল করতে না পারার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন অঞ্চল বাসি ও আমরা। গ্রামের ইকবাল মিয়া জানান, রাত ও দিনের বেলা ডেলিভারি সহ অসুস্থ রোগীদের কে নিয়ে হাসপাতালে আসতে এ রাস্তা ব্যবহার করতে হয় কিন্তু রাস্তা ভাঙ্গা থাকার কারণে অনেক দূরবর্তী রাস্তায় তাদেরকে ঘুরিয়ে নিয়ে যেতে হয়।গ্রামের রুশন মিয়া বলেন, রাস্তাটি মেরামতের জন্য কয়েক বার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বার কে জানানোর পরেও আমাদেরকে অবহেলার চোখে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুজ্জামান নুরুজ এ বিষয়ে বলেন, ইউনিয়নের মাসিক সভায় আমি বিষয়টি অবহিত করে, কমলগঞ্জ উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার কে অবহিত করেছি। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতলিব তরফদার, ভেঙ্গে যাওয়া স্থান সম্পর্কে অবহিত আছেন জানিয়ে বলেন,ইউনিয়নে বাজেট না থাকাই গত বছর কাজ করা সম্ভব হয়নি আগামীতে মেরামত কাজ হবে বলে মুঠোফোনে আলাপ কালে জানান তিনি