৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি

অভিযোগ
প্রকাশিত জুলাই ১৮, ২০১৯
গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি

 

জাহিদুল ইসলামঃ গাইবান্ধা প্রতিনিধি,
ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্রিয় শহর গাইবান্ধায় বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি ১৯৮৮ সাল থেকেও ভয়াবহ হচ্ছে। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, আজ সকালে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ১৫০ সেন্টিমিটার এবং ঘাঘট নদীর পানি ৯৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সদর উপজেলার ৩৮টি ইউনিয়ন এবং গাইবান্ধা পৌরসভা প্লাবিত হয়ে সাড়ে ৪ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বাঁধ ভেঙে গাইবান্ধা শহরের দুই তৃতীয়াংশ এলাকার বাসাবাড়ি তলিয়ে গেছে। বন্যা কবলিত মানুষের জন্য ১১৪টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এতে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। ব্রহ্মপুত্রের পানি চরের বাড়িঘরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় পানির প্রবল স্রোতে ভেসে গেছে পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি। ত্রিমোহিনী রেল জংসন ও আশপাশের এলাকায় রেললাইনের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় লালমনিরহাট-সান্তাহারগামী লোকাল ও মেইল ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। তবে লালমনি এক্সপ্রেস কাউনিয়া-রংপুর-পারবর্তীপুর-শান্তাহার হয়ে ঢাকা চলাচল করছে। এছাড়া রংপুর এক্সপ্রেস রংপুর-পারবর্তীপুর-শান্তাহার হয়ে ঢাকা চলাচল করছে। অপরদিকে ফুলছড়ি হেডকোয়াটার হাঁটু পানিতে তলিয়ে গেছে। অন্যদিকে, ঘাঘট নদীর পানির তোড়ে সদর উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়নের ফকিরপাড়া এলাকায় শহর রক্ষা বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ-রংপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে হাঁটুর ওপরে পানি প্রবল বেগে প্রবাহিত হওয়ায় সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া কদমতলী এলাকায় একটি সেতু পানির প্রবল স্রোতে ভেঙে পরার উপক্রম হয়েছে। বালির বস্তা দিয়ে সেতুটি রক্ষার চেষ্টা চলছে। বন্যা কবলিত এলাকার রাস্তাঘাট সব ডুবে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে ১০ কিলোমিটার পাকা রাস্তা, ৯৮ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা, ৩৬ কালভার্ট ও পাঁচ কিলোমিটার বাঁধ। আল্লাহ তুমি রক্ষা কর….

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031