২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

কালিয়াকৈরে বৃষ্টির ‘পানিতে বন্দী’ পাঁচগ্রাম

অভিযোগ
প্রকাশিত জুলাই ১৫, ২০১৯
কালিয়াকৈরে বৃষ্টির ‘পানিতে বন্দী’ পাঁচগ্রাম

 

পুনম শাহরীয়ার ঋতুঃগাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর পৌরসভার হরিণহাটি, চন্দরা, বিশ্বাসপাড়া, রাখালিয়াচালা ও সফিপুর পূর্বপাড়া গ্রামে গত দ্ইুদিনের বৃষ্টিতে পাঁচটি গ্রামের কমপক্ষে হাজারও ঘরবাড়ীতে এখন হাঁটু পানি জমে উঠেছে। এলাকায় অপরিকল্পিত শিল্পকারাখানা ও ঘরবাড়ী নীচু জমি মাটি ভরাট করায় বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এ দুভোর্গে পড়েছেন শত শত মানুষ।

তবে ওই সব বাড়ী ঘরে বসবাসকারী বেশিরভাগ হলো গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিক। ওই ভাড়াটিয়াদের ঘরে হাঁটু পানি জমে যাওয়াতে চরম দুর্ভোগে পড়েন শ্রমিকরা। তবে জলাবদ্ধতার পানি দ্রুত সরে না যাওয়ায় ময়লাযুক্ত পানি ঘরে ঢুকে পড়ায় দুর্গন্ধ সইতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ ও ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকর্তাদের কাছে একাধিকবার আবেদন দিলেও পানি নিস্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা সম্প্রাসারণ করা হচ্ছে না। ফলে পৌর ও ইউনিয়ন পরিষদেও নাগরিকরা তাদের নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

হরিণহাটি এলাকার আলমগীর হোসেন জানান, গত রাতেই তার বাড়ীর প্রতিটি কক্ষে হাঁটু পানি ঢুকে পড়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষ বৃষ্টির পানি নিস্কাশনের যে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করেছে তা দিয়ে মোটেও পানি সরছে না। ফলে গত আটচল্লিশ ঘন্টা ধরে পঁচা ময়লা যুক্ত পানির উপর টং করে বসবাস করছি। এ বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জলাবদ্ধতার পানি দ্রুত সরানোর অনুরোধ করা হলেও কোন কর্ণপাত করছেন না।

একই এলাকার সামছুল হক, আব্দুল জলিল, শহিদুজ্জামান জানান, এলাকার প্রায় পাঁচ শতাধিক বাড়ীতে অতিবৃষ্টির পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে শত শত শ্রমিক পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।

রাখালিয়াচালা গ্রামের ফজলুল হক জানান, এ গ্রামে সামান্য বৃষ্টির পানিতে এ গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে গেছে। দ্রুত পানি নিস্কাশনের দাবী জানাই।

সফিপুর পূর্বপাড়া গ্রামের শমসের আলী জানান, নিচু এলাকার ড্রেন দিয়ে পানি নামতে না পারায় শত শত বাড়ীতে হাঁটু পানি জমে উঠেছে। চরম দুভোর্গে পড়েছেন বাড়ীওয়ালা ও ভাড়াটিয়া। সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এর সমাধানের জন্য জোর দাবি জানাই।

কালিয়াকৈর পৌর সভার প্যানেল মেয়র মোঃ সামছুল আলম জানান, সকাল থেকেই পানি নিস্কাশনের জন্য শ্রমিক কাজে লাগানো হয়েছে। আবার অতি বর্ষণের কারণে ড্রেন দিয়ে পানি নীচু এলাকায় নামতে নারায় এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media
April 2024
T W T F S S M
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30