মনজুরুল ইসলাম , ধামরাই (ঢাকা) থেকে :
ঢাকা ধামরাইয়ে জয়পুরা বাজারের আজম ষ্টোর নামে এক বিকাশ এজেন্টকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ৩ লক্ষ ৫০হাজারসহ টাকাসহ তিনটি মোবাইল নিয়ে পলিয়ে গেছে প্রতারক চক্র।
তবে জয়পুরা বাজারের সিসি টিভি ক্যামেরায় প্রতারণক চক্রের সদস্যদের টাকা নিয়ে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে বাজার কমিটির সদস্যরা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ধামরাই থানার পুলিশ, কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রতারণক চক্রের কাউকে সনাক্ত করতে পারিনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৭ফ্রেরুয়ারী) দুপুরে ধামরাই উপজেলার জয়পুরা বাজারের উত্তর পাশে আজম ষ্টোর বিকাশ এজেন্ট দোকানে এই ঘটনাটি ঘটে। দোকানের মালিক মোঃ আজম আলী তার বাড়ী জয়পুরা বাজার এলাকায়।
জয়পুরা বাজারের বিভিন্ন লোকজন জানান, দুপুরে আজম ষ্টোরের মালিক মোঃ আজম আলী দুপুরের পরে বাড়ী থেকে ৩লক্ষ ৫০হাজার টাকা নিয়ে জয়পুরা বাজারে দোকানে আসেন। আজম দোকানের তালা খোলে দোকানে প্রবেশ করে টেবিলের ডয়ারে মধ্যে টাকার ব্যাগটি রেখে বাকি সাটার খোলার জন্য গেলে প্রতারক চক্রে সদস্যরা তার সাথে দোকানের ভেতরে ঢোকে। এই সময় দোকান মালিক আজম আলী বাকি সাটার খোলতে গেলে তখন সাটার না খোলায় প্রতারক চক্রের সদস্যরা আজম আলীকে বলে আপনার সাটারে কে যেন গুনাদিয়ে আটকিয়ে রেখেছে তখন আজম ঐ গুনার বান খোলতে বাহিরে গেলে এই দিকে প্রতারক চক্রের সদস্যরা গোপনে টাকার ব্যাগ ও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আজম সাটার খোলে হাত পা দোয়ে দোকানে প্রবেশ করে টাকার ব্যাগ না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পরে। এই সময় আশে পাশের লোকজন এসে তাকে শান্তনা দেয়। পরে বাজার কমিটির লোহজন এসে সিসি টিভির ফোটেজ দেখে। এতে সিসি টিভির ফোটেজে প্রতারক চক্রের ৫ সদস্যকে টাকার ব্যাগ ও মোবাইল নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে তারা ঢাকা আরিচার রোড দিয়ে চলে যাইতে দেখা গেছে । তবে প্রতারক চক্রে কাউকে তারা চিনতে পারে নাই।
জয়পুরা বাজার কমিটির সদস্য মোঃ জাহিদ হোসেন জানান, দুপুরের দিকে আজম বাড়ী থেকে বিকাশ অফিসে টাকা দিবে বলে ৩লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে দোকানে প্রবেশ করে। কিন্তু প্রতারক চক্রের খপ্পরে পরে, দোকান থেকে টাকার ব্যাগ নিয়ে প্রতারক চক্র চলে গেছে। দিন দুপুরের এই রকম ঘটনা আসলে দুঃখ জনক। তবে পুলিশ এসেছিল তাদেরকে আমারা সিসি টিভির ফোটেজ দেখিয়ে দিয়েছি।
বিকাশ দোকানের মালিক আজম জানান, আমি আজ দুপুরে বিকাশে টাকা লাগবে বলে বাড়ী থেকে টাকা নিয়ে এসেছি। তবে টাকা ব্যাগ কাদে নিয়ে দোকানের একটি সাটার খোলে ভিতরে গিয়ে ব্যাগটি রেখে বাকি সাটার খুলতে গেলে সে আর খুলে না তখন বাহির থেকে কে জেন এক জন বলল আপনার সাটারে গুনা দিয়ে বাধ দেওয়া আছে। তখন আমি সেই গুনার বাধ খুলতে বাহিরে যায়। পরে হাত ধুয়ে দোকানে এসে দেখি আমার ব্যাগ নেই।
ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক ( এস আই) মোঃ আরাফাত হোসেন জানান, আমারা ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছি। সিসি টিভি ফোটেজ দেখিছি। সেই অনুযায়ী প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।