২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

‘জনগণই আওয়ামী লীগের শক্তি’

অভিযোগ
প্রকাশিত জুন ২২, ২০১৯
‘জনগণই আওয়ামী লীগের শক্তি’

অভিযোগ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাঙালি জাতির প্রতিটি মহৎ, শুভ ও কল্যাণকর অর্জনে আওয়ামী লীগের ভূমিকা রয়েছে। জনগণই আওয়ামী লীগের শক্তি। ভবিষ্যতেও আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ, উন্নত ও আধুনিক সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করবে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

‘আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের ঐতিহ্য। কোনো অশুভ শক্তি এ দেশে বিস্তার লাভ করতে পারবে না’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা সফল হয়েছি। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকের স্থান বাংলাদেশে হবে না। আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়ন, গণতন্ত্র ও দেশবিরোধী অপশক্তির মূলোৎপাটন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

“আমি বিশ্বাস করি, এ দেশের শান্তিপ্রিয় জনগণ উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে গিয়ে বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রতিষ্ঠিত করবে।”

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের অগণিত নেতা-কর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীসহ দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তিনি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এরপর তিনি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ও সাধারণ সম্পাদক সামসুল হকসহ অন্য নেতৃবৃন্দকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি একই সাথে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে এবং জাতীয় চার নেতাসহ স্বাধিকার আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও গণতন্ত্রের সংগ্রামে শহীদ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আওয়ামী লীগ গণমানুষের এক সুবৃহৎ সংগঠনে পরিণত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে আবারও রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ অত্যন্ত সফলভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করে। উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগ সরকারই খাদ্য ঘাটতির দেশ বাংলাদেশকে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার গত সাড়ে ১০ বছরে দেশের কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য যোগাযোগ, তথ্য-প্রযুক্তি, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন, কূটনৈতিক সাফল্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ প্রতিটি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছি। অর্থনৈতিক অগ্রগতির সূচকে বিশ্বের শীর্ষ ৫টি দেশের একটি বাংলাদেশ।”

বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশে। এবার হবে ৮ ভাগের উপরে। দারিদ্র্যের হার কমে এখন ২১ শতাংশ। মানুষের আয় ও ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৯০৯ মার্কিন ডলার। দেড় কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। ৫ কোটির বেশি মানুষ নিম্ন আয়ের স্তর থেকে মধ্যম আয়ের স্তরে উন্নীত হয়েছে।

আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইতিহাস মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার ইতিহাস। আওয়ামী লীগ এ দেশের মানুষের আত্মপরিচয়ের সংগ্রামের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ১৯৫২’র ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৬২’র আইয়ুবের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৪’র দাঙ্গার পর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা, ১৯৬৬’র ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯’র গণঅভ্যুত্থানসহ সকল আন্দোলন-সংগ্রাম পরিচালিত হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে।

‘‘আওয়ামী লীগকে এ দেশের মাটি ও মানুষের দল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগই অর্জন করেছে মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক এবং মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্বদানের সুমহান গৌরব। ১৯৭০’র নির্বাচনে বাঙালি জাতি আওয়ামী লীগের পক্ষে নিরঙ্কুশ রায় দেয়। যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭১’র ৭ই মার্চ ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’’

Please Share This Post in Your Social Media
April 2024
T W T F S S M
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30