২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

‘ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে সবধরনের সহায়তা দেয়া হবে’

অভিযোগ
প্রকাশিত জানুয়ারি ৯, ২০২০
‘ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে সবধরনের সহায়তা দেয়া হবে’

বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা -ছবি : টিভি থেকে নেয়া

 

অভিযোগ প্রতিবেদক : দেশের পাট ও রেশমের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্ববান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে নতুন বাজার সৃষ্টির পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশের সাথে বাণিজ্য বাড়ানোর তাগিদ দেন তিনি।

 

তিনি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে সবধরনের সহযোগিতা দেবে তার সরকার।

 

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বস্ত্র দিবসের বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

 

প্রধানমন্ত্রী জানান, জিডিপিতে বস্ত্রখাতের অবদান ১৩ শতাংশ। এজন্য পোশাকের ডিজাইনে নতুনত্বের দিকেও গুরুত্ব দিতে হবে।

 

এদিকে দেশের ৮৪ ভাগ রফতানি আয় আসা বস্ত্র খাত থেকে। গতবছর রফতানি আয় এসেছে ৩৪.১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সরকারের লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে এই আয় বাড়িয়ে ৫০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়া।

 

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও বড় অবদান রাখায় বস্ত্রখাতের সাথে জড়িতদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

সরকারি খাতের কল-কারখানা কেনো লাভ করতে পারে না এমন প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বস্ত্রখাতকে আরও এগিয়ে নিতে মূল দায়িত্ব নিতে হবে বেসরকারি খাতকেই।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বস্ত্রখাতের উন্নয়নে উচ্চশিক্ষায় টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন কারিগরি প্রতিষ্ঠান করা হয়েছে। এতে দক্ষ জনবলের পাশাপাশি কমসংস্থানেরও সৃষ্টি হচ্ছে।

 

এর আগে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বস্ত্রখাতের নয় প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমাদের দেশের বস্ত্রপণ্য খুব অল্প টাকায় আমরা বিক্রি করি। পণ্যের দাম মাত্র ১ ডলার করে বাড়ালেও আমরা লাভবান হতে পারতাম। এখন আমাদের বার্গেনিং করা উচিত।

 

প্রধানমন্ত্রী পাটসহ অন্যান্য বস্ত্র খাত সর্ম্পকে বলেন, পাট এমন একটি কৃষিপণ্য যা পরিবেশবান্ধব। আমরা পাটের জীবনরহস্য উন্মোচন করেছি।

 

এখন পাট দিয়ে বিভিন্ন পণ্যের পাশাপাশি বস্ত্র নির্মাণের কাজও এগিয়ে চলেছে। এর বিকাশে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তাঁত শিল্পও আমাদের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য। মসলিনের ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে শুরু করেছে। এ নিয়ে নতুন করে গবেষণার কাজ শুরু করার প্রস্তুতি চলছে।

 

প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকার সিল্ক ও রেশমের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। রাজশাহীতে ১৯টি লুম চালু করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পণ্যের বৈচিত্র্য দরকার ব্যক্ত করেন।

 

তিনি বলেন, নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে হবে। নতুন নতুন পণ্য নিয়ে কাজ করতে হবে। পণ্যের রং, ডিজাইন এবং চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে উৎপাদন করতে হবে।

 

বস্ত্রখাতকে এগিয়ে নিতে ২০১৯ এর ৪ ডিসেম্বর প্রথমবারের পালিত হয় জাতীয় বস্ত্র দিবস। এখন থেকে প্রতিবছরই এদিনে পালিত হবে দিবসটি।

 

বিশ্ববাজারে দেশের পণ্যসামগ্রীর চাহিদা বাড়ানো ও রফতানি নতুন বাজার খুঁজতে ব্যবসায়ীদের প্রতি তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031