৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড সোনাইছড়ির পাহাড়ে পিটিয়ে হত্যা: পশুটি ভালুক না বনরুই!

অভিযোগ
প্রকাশিত ডিসেম্বর ৩, ২০১৯
চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড সোনাইছড়ির পাহাড়ে পিটিয়ে হত্যা: পশুটি ভালুক না বনরুই!

চট্রগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধানঃ

চট্রগ্রাম সীতাকুণ্ডে সোনাইছড়ির পাহাড়ে নির্মমভাবে হত্যা করা পশুটি ভালুক না কী বন রুই এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে হত্যাকাণ্ডের শিকার পশুটি ভালুক হতে পারে বলে স্থানীয়দের ধারণা।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর কিছু পাহাড়ি লোকজন ভালুকটিকে নিয়ে যায়। অন্যদিকে এর আগে ভালুকটি ধরতে গিয়ে কামড়ে আহত হয়েছে এক ব্যক্তি। তাকে নিতে হয়েছে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা। জানা যায়, উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর গ্রামের পাহাড়ের তলদেশে একটি ভালুকের বাচ্চা নেমে আসলে সেখানে থাকা কয়েকজন যুবক ভালুকটিকে ধরার চেষ্টা চালায়। এসময় ভালুকের বাচ্চাটি স্থানীয় ইকবাল হোসেন (২৬) নামক এক যুবককের হাতে কামড়ে দেয়।
পরে স্থানীয়রা ভালুকের বাচ্চাটিকে পিটিয়ে হত্যা করে। পাশাপাশি আহত ইকবালকে ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ইকবাল শীতলপুর গ্রামের মো. খলিল আহমদের ছেলে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আহত ইকবালকে হাসপাতালে ভর্তি করানো তার ভাই জাহেদুল ইসলাম সম্রাট ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার বিকেলে ভালুকের বাচ্চাটি পাহাড় থেকে নিচে নেমে আসে। ইকবালসহ অন্যরা সেটি ধরতে গেলে ভালুকটি ইকবালের হাতে কামড়ে দেয়। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তারা ইকবালকে ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। সেখানে ডাক্তার তাকে চিকিৎসা দেয়। বর্তমানে ইকবাল আশংকামুক্ত আছে।
এদিকে সোনাইছড়ি ত্রিপুরা পল্লীর সর্দার কাঞ্চন ত্রিপুরা বলেন, ঘটনার সময় তিনি সেখানে ছিলেন না। পরে এলাকায় এসে জানতে পারেন যে ভালুকের মত দেখতে ঐ প্রাণীটি নিচে এসে পানির কাছাকাছি গেলে স্থানীয়রা সেটিকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে কিছু আদিবাসী মারমারা সেটি গহীন পাহাড়ে নিয়ে যায়। এদিকে ঘটনার পর প্রাণীটিকে কেউ ভালুক আবার কেউ বনরুই বলে দাবি করতে থাকেন।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শাহজালাল মো. ইউনুস মৃত প্রাণীটির ছবি দেখে এটি একটি ভালুকের বাচ্চা বলে মনে করছেন।
অন্যদিকে, পাহাড়ে একটি বন্য প্রাণীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলেও বিষয়টি অবগত হননি বন রক্ষার দায়িত্বে থাকা শীতলপুর বনবিটের কর্মকর্তারা।
শীতলপুরের বিট কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, ভুক্তভোগি ইকবালের স্বজনদের কাছে ঘটনাটি নিশ্চিত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আসলে সে সময় আমরা কেউই ছিলাম না। তবে গ্রামবাসীরা এই প্রাণীটিকে দেখে মনে করেছেন এটি কবরে লুকিয়ে থেকে মৃত মানুষের দেহ খায়। এজন্য তারা এটিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031