৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ট্রাফিক আইন মেনে চলার সংস্কৃতি গড়ে তোলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

অভিযোগ
প্রকাশিত অক্টোবর ২১, ২০১৯
ট্রাফিক আইন মেনে চলার সংস্কৃতি গড়ে তোলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

মনজুরুল ইসলাম :: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সড়ক দুর্ঘটনা রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি ট্রাফিক আইন মেনে চলার সংস্কৃতি গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা দেশের সড়কগুলোকে নিরাপদ হিসেবে গড়ে তুলে সড়ক দুর্ঘটনা কাঙ্খিত পর্যায়ে নামিয়ে আনতে সক্ষম হব।’

আজ সোমবার শেখ হাসিনা ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে এক বাণীতে এ কথা বলেন।

‘বাংলাদেশে তৃতীয়বারের মতো আগামীকাল মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০১৯’ পালন করা হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি মনে করেন, দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘জীবনের আগে জীবিকা নয়, সড়ক দুর্ঘটনা আর নয়’ অত্যন্ত যথার্থ ও সময়োপযোগি হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, উন্নত যোগাযোগ অবকাঠামো ও পর্যাপ্ত পরিবহন সেবা অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত। এ উপলব্ধি থেকে স্বাধীনতার পর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের বিধ্বস্ত সড়ক ও ধ্বংসপ্রাপ্ত পরিবহন ব্যবস্থাকে স্বল্প সময়ের মধ্যে সংস্কার ও পুনঃনির্মাণ করে সুষ্ঠু যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে বিগত পৌঁনে এগার বছরে দেশের উন্নত সড়ক যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। দেশের সকল জাতীয় মহাসড়ক পর্যায়ক্রমে চার বা তদূর্ধ্ব লেনে উন্নীতকরণ, মেট্রোরেল, বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি), এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ফ্লাইওভার, ওভারপাস-আন্ডারপাস নির্মাণসহ নতুন নতুন সড়ক, সেতু, কালভার্ট নির্মাণ, পুনঃনির্মাণ করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার সড়ক পরিবহন ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়নের পাশাপাশি নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা জোরদার করার বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে।

তিনি বলেন, সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ন্যাশনাল রোড সেফটি স্ট্র্যাটেজিক অ্যাকশন প্ল্যান (২০১৭-২০) প্রণয়ন করা হয়েছে এবং সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ জাতীয় সংসদে পাশ করা হয়েছে। এ আইনটি প্রয়োগের মাধ্যমে দুর্ঘটনা ন্যূনতম পর্যায়ে নামিয়ে আনার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। সড়ককে নিরাপদ করতে ডিভাইডার স্থাপন, বাঁক সরলীকরণ, সড়ক ৪-লেনে উন্নীতকরণ, গতিনিয়ন্ত্রক বসানোসহ নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা আনয়ন এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নে আমরা স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর এবং টেকসই নিরাপদ মহাসড়ক নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের সরকারের লক্ষ্য।’

তিনি উল্লেখ করেন, সড়ক দুর্ঘটনা মানুষের জীবন কেড়ে নিতে পারে, আবার কাউকে পঙ্গু করে দিতে পারে। একটি দুর্ঘটনা কোন ব্যক্তি বা তার পরিবারের জন্যও সারাজীবন দুঃসহ কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

অস্বাভাবিক গতিতে গাড়ি চালানো সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ এ কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিয়ন্ত্রিত গতিতে এবং সাবধানে গাড়ি চালানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন হতে হবে। মনে রাখতে হবে জীবনের প্রয়োজনে জীবিকা, জীবিকার প্রয়োজনে জীবন নয়।

Please Share This Post in Your Social Media
May 2024
T W T F S S M
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031