Sharing is caring!
আরমান হোসেন ডলার (বিশেষ প্রতিনিধি) বগুড়াঃবগুড়ায় মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছেন একাদিক নারীরা। ভদ্রবেশে-ছদ্মবেশী প্রায় দুই শতাধিক নারী শহরে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। পারিবারিকভাবে অনেকেই স্বামীকে, কেউ কেউ নিজের বাবা-মাকে আর্থিক সহায়তা করতে গিয়ে মাদক সম্রাজ্ঞী খেতাব পেয়েছেন। শহরের প্রায় শতাধিক পয়েন্টে, আবাসিক হোটেলে ও পর্যটন স্পটে ইয়াবা, হেরোইন ও ফেনসিডিল ব্যবসায় এরা তৎপর। এছাড়াও রাতের আধারে ডিজে পার্টির নামে চলে দেহ ব্যবসার রমরমা ব্যবসা।
মাদক সম্রাজ্ঞী ও দেহ ব্যবসায়ীর নাম- মোছা: শারমিন আক্তার মায়া হলেও কোথাও কোথাও এ নিজেকে কণা,পুষ্পিতা, সঞ্চিতা, অধরা, আনন্দী, সোমা, সাদিয়া সহ নানা নাম ব্যবহার করে থাকে। পিতা- মোঃ সাবু মাঝি, গ্রাম- খেরুয়াপাড়া, ৯নং ওয়ার্ড, সৈয়দপুর ইউনিয়ন, মোকামতলা, শিবগঞ্জ। এর সাথে জড়িত- শারমিন, অনিকা, সীমা, মায়া, ফয়সাল, উজ্জল, বীথি, মিনারুল, সনি, আলো সহ অসংখ্য নাম।
সূত্র জানায়, শহরের সেউজগাডি, বনানী, মাটিডালি, চারমাথা , শাকপালা, বৌ-বাজার, চেলোপাড়া, টিএমএসএস পয়েন্টে, মোকামতলা, শিবগঞ্জ, চরপাড়া, পাইকড়, গাবতলী, কাহালুর রেলস্টেশন, কাহালুর গোয়ালপুকুর, কালাই ঘোনপাড়ায়, গাবতলী, সারিয়াকান্দির প্রেম যমুনার ঘাট, কালিতলা ঘাট এলাকাসহ প্রায় শতাধিক স্পট বগুড়ার গুরুত্বপূর্ণ মাদক পয়েন্ট।
এসব পয়েন্টে হাত বাড়ালেই হেরোইন, ইয়াবা, ফেনসিডিল ও গাঁজা মেলে। প্রায় তিন শতাধিক নারী মাদক ব্যবসায়ী নিরাপত্তার প্রশ্নে উঠতি বয়সী নারীদের দিয়ে মাদক পরিবহনের কাজটি সারছে।
মাদক পরিবহনকারী এসব নারীর সংখ্যা শতাধিক বলে জানা গেছে। বোরকা পরে স্কুল-কলেজের ছাত্রী বেশে ব্যাগে করে এরা মাদক আনা নেওয়ার কাজ করেন। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন আবাসিক ও অভিজাত হোটেল ও পিকনিক স্পটে ডিজে পার্টির নামে এবং যাত্রা পালার নামে চলছে এসব মাদক বিক্রি ও দেহ ব্যবসার রমরমা বাণিজ্য।এছাড়াও এসব উঠতি বয়সি মেয়েদের দিয়ে উঠতি বয়সি কিশোর ও পুরুষদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে টাকা-পয়সা ও মূল্যবান জিনিসপত্র। আর এসব অপরাধের কাজগুলো থেকে নিজেদের আড়াল করতে ও আইনের হাত থেকে বাঁচতে ব্যবহার করা হচ্ছে পুলিশ প্রশাসন, র্যা ব ও ডিবির কর্তা ব্যাক্তিদের নাম। সম্প্রতি মাদক ও দেহ ব্যবসার সাথে জড়িত শতাধিক নারী ব্যবসায়ী, তাদের নিয়ন্ত্রনকর্তা ও প্রশাসনের কিছু কর্তা ব্যাক্তিদের সম্পৃক্ততা ও নাম – তথ্য প্রমান সহ পাওয়ান গেছে।যাদের ছত্র ছায়ায় নির্বিঘ্নে তাদের এসব ব্যবসা পরিচালনা করে এবং তার ফলে এসব অপরাধীরা সব সময় ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়।।